ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

আল্লাহর কাছে রোজার গুরুত্ব বেশি কেন?

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৪৩ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০২২

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে আসা রমজান নিঃসন্দেহে অন্যান্য মাস অপেক্ষা অধিক মর্যাদাপূর্ণ। এ মাসের অর্জিত জ্ঞান অন্য সব মাসে প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের জীবন সুন্দর ও আলোকিত হয়ে ওঠে। ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে আমাদের জীবনে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত তাই অনেক বেশি।

রোজা আল্লাহর জন্য
প্রত্যেক নেক আমলের বিভিন্ন ফজিলত ও সওয়াব রয়েছে। যা দ্বারা মহান রাব্বুল আলামিন আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার বিষয়টি একেবারেই স্বতন্ত্র। কারণ, রোজার বহুবিধ প্রতিদান ছাড়াও এ বিষয়ে একটি অতুলনীয় ঘোষণা রয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মানুষের প্রত্যেকটি আমলকে বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকি (সওয়াব) ১০ গুণ থেকে (ক্ষেত্র বিশেষে) ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কিন্তু রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ, রোজা আমার জন্য। সুতরাং এর প্রতিদান আমি নিজেই প্রদান করব।’ (সহিহ বোখারি : ১৮৯৪, সহিহ মুসলিম : ১১৫১/১৬৪)।

রোজা ধৈর্য্যের ফলস্বরূপ
রোজা ছাড়া অন্যান্য সব আমলের সওয়াব বৃদ্ধির ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। তা হলো—১০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত। এটি সাধারণ নিয়ম। আল্লাহতায়ালা চাইলে বিশেষ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশিও প্রদান করতে পারেন। তবে সাধারণত সব আমলের সওয়াব এ নীতির মাধ্যমেই নির্ণিত হয়। কিন্তু রোজার বিষয়টি স্বতন্ত্র। কারণ, এর সওয়াবের নির্ধারিত কোনো সীমারেখা নেই; বরং আল্লাহতায়ালা নিজে এর সওয়াব প্রদানের ঘোষণা করেছেন। এর পরিমাণ যে কত হবে, তা একমাত্র তিনিই জানেন। রোজার এত বড় ফজিলতের একটি বাহ্যিক কারণ এও হতে পারে যে, রোজা ধৈর্য্যের ফলস্বরূপ। আর ধৈর্যধারণকারীদের জন্য আল্লাহতায়ালার সুসংবাদ হলো, ‘ধৈর্য্য ধারণকারীগণই অগণিত সওয়াবের অধিকারী হবে।’ (সুরা যুমার : ১০)।

ইবাদত আল্লাহর জন্য
সব ইবাদত আল্লাহর জন্য। রোজার বহুবিধ বিশেষত্বের কারণে শুধু একেই মহান রাব্বুল আলামিন নিজের জন্য বিশেষ করে নিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘রোজা তো আমারই জন্য।’ তাই রোজার প্রতিদান তিনি নিজেই দান করবেন। বে-হিসাব দান করবেন বলে তিনি রোজাদারকে সুসংবাদ দান করেছেন। (লাতায়িফ : ১৬৮-১৭০)।

আল্লাহতায়ালা আমাদের রমজানের প্রতিটা মুহূর্ত ইবাদতে কাটানোর তৌফিক দান করুন। আমিন।

মুনশি/এসইউ/জিকেএস

আরও পড়ুন