ভালো কাজের নিয়ত করলেই কি সওয়াব পাওয়া যাবে?
আমল ভালো হোক আর মন্দ হোক, প্রতিটি আমলের বিনিময় রয়েছে। বান্দার প্রতি আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ যে, শুধু ভালো কাজের নিয়ত করলেই মিলবে সওয়াব। হাদিসে পাকে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনই ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সেটি হতে হবে ভালো কাজের নিয়ত। যে নিয়তে বিনা কাজে সওয়াব পাবেন মুমিন। হাদিসে কুদসিতে এ সম্পর্কে ওঠে এসেছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
হ্যাঁ, ভালো কাজের নিয়ত করলেই মিলবে সওয়াব। হাদিসে কুদসির বর্ণনায় ওঠে এসেছে সুন্দর দিকনির্দেশনা। তাহলো-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রভূর সূত্রে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা সৎকাজ ও পাপকাজের সীমা চিহ্নিত করে দিয়েছেন এবং সেগুলোর বৈশিষ্ট্য সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। অতএব যে ব্যক্তি কোনো সৎ কাজের নিয়ত করে (কিন্তু) এখনো তা সম্পাদন করতে পারেনি; আল্লাহ তাআলা তার আমলনামায় একটি নেকি লিখে দেওয়ার আদেশ দেন।
আর ভালো কাজের নিয়ত করার পর যদি সেই কাজটি সম্পাদন করা হয়, তাহলে আল্লাহ তার আমলনামায় ১০ নেকি থেকে শুরু করে সাতশ’ এমনকি তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি নেকি লিপিবদ্ধ করে দেন।
আর যদি কোনো ব্যক্তি পাপ (অসৎ) কাজের ইচ্ছা পোষণ করে এবং তা সম্পাদন না করে, তবে আল্লাহ তাআলা তার (ওই ব্যক্তির অন্যায় কাজ না করার) বিনিময়ে তার আমলনামায় একটি পূর্ণ নেকি দান করেন।
আর যদি কোনো মানুষ মন্দ কাজের ইচ্ছা পোষণ করে, সঙ্গে সঙ্গে তার আমলনামায় গুনাহ লেখা হয় না। তবে যখন সে ব্যক্তি মন্দ কাজ করে তখন শুধু মাত্র একটি মন্দ কাজের জন্য একটি গুনাহ লেখা হয়।’(বুখারি ও মুসলিম)
বান্দার মহান আল্লাহর এক বিরাট অনুগ্রহ যে, তিনি ভালো কাজের নিয়ত করার সঙ্গে সঙ্গেই বান্দার আমলনামায় সওয়াব দান করেন। আর ভালো কাজ করলে এ নেকির পরিমাণ ৭শ’ কিংবা তার চেয়ে বেশি দান করেন।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, সব সময় ভালো কাজের নিয়ত করা। আল্লাহর কাছে ভালো কাজের তাওফিক কামনা করা। যথাসাধ্য ভালো কাজ করার সর্বাত্মক চেষ্টা রাখা। আর এতেই মিলবে বিনা কাজে সওয়াব।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ভালো কাজ করার পাশাপাশি সব সময় ভালো কাজ করার মানসিকতা পোষণ করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস