যে দোয়া পড়লে সব গুনাহ মাফ হয়
খাবারের সর্বোত্তম নিয়ম হলো শুরুতে বিসমিল্লাহ আর শেষে আহলহামদুলিল্লাহ পড়া। এতে যেমন খাবারে বরকত হয়, শয়তান থেকে মুক্ত থাকা যায় তেমনি এ তাসবিহ ও দোয়ার বিনিময়ে মুমিনের সব (ছোট) গুনাহও ক্ষমা করে দেওয়া হয়। গুনাহ মাফের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বয়ং নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ জন্য নবিজীর শেখানো খাবার খাওয়ার শুরু এবং শেষে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের দোয়াটি পড়া। গুনাহ মাফের সেই দোয়া কোনটি?
হজরত মুয়াজ ইবনে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি খাবার খাওয়ার শেষে এই দোয়া পড়বে-
الحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أطْعَمَنِي هَذَا، وَرَزَقنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ،
উচ্চারণ : ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আত্বআমানি হাজা; ওয়া রাযাক্বানিহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নি ওয়া লা কুওয়্যাতিন।’
অর্থ : সব প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে ইহা খাওয়ালেন এবং আমার কোনো প্রচেষ্টা ও সামর্থ্য ছাড়াই জীবিকা দান করলেন।’
غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
তার (সে ব্যক্তির) আগের সব (ছোট) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, রিয়াদুস সালেহিন)
সুতরাং খাবার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া এবং খাবার শেষে ‘আলহামদুল্লিাহ’ পড়া। এতে খাবারে মিলবে বরকত এবং সব ছোট গুনাহ থেকেও পাওয়া যাবে মুক্তি।
শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ খাবার খেতে বসলে যেন ‘বিসমিল্লাহ’ বলে খাবার শুরু করে। সে যদি প্রথমে ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে ভুলে যায় তবে যেন বলে-
بِسْمِ الله فِىْ أَوَّلِهِ وَ أخِرِهِ
‘বিসমিল্লাহি ফি আউয়্যালিহি ওয়া আখিরিহি।’
অর্থ : ‘খাবারের শুরুতে আল্লাহর নাম শেষেও আল্লাহর নাম।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে খাবারের বরকত পেতে, শয়তানের অংশগ্রহণ মুক্ত হতে এবং জীবনের সব ছোট গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস