নবিজী (সা.) যে দোয়া বেশি পড়তেন
ছোট্ট একটি দোয়া। পড়তেও সহজ এবং ছন্দময়। দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির দোয়া এটি। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোয়াটিই বেশি বেশি পড়তেন। তিনি দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ কামনা করতেন। আবার জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি চাইতেন। কোরআনের ছোট্ট দোয়াটি হলো-
رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً وَّ فِی الۡاٰخِرَۃِ حَسَنَۃً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনইয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া ক্বিনা আজাবান-নার।’
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন। আর পরকালেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে (জাহান্নামের) আগুনের আজাব থেকে রক্ষা করুন।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২০১)
দোয়াটি পড়া সম্পর্কে কী বলেছেন নবিজী?
১. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সায়েব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কাবা শরিফের দুই রোকনের (রোকনে ইয়ামেনি থেকে রোকনে হাজরে আসওয়াদ এর) মাঝে এ দোয়া পড়তে শুনেছি।’ (আবু দাউদ)
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায় সময়ই এ দোয়াটি পড়তেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
২. হজরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায়ই এ দোয়া করতেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
দোয়াটিতে কী আছে?
কোরআনুল কারিমের সুরা বাকারার ২০১ নং আয়াতে এ দোয়াটি নাজিল হয়েছে। এ দোয়ায় ভালো কাজ করার তাওফিক দান করার আবেদন রয়েছে। অর্থাৎ ঈমানদাররা দুনিয়াতেও দুনিয়া চায় না, বরং নেকির কাজের তাওফিক কামনা করেন।
এ কারণে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুব বেশি বেশি এই দোয়াটি পড়তেন। এই দোয়াটি হজ ওমরার সময় কিংবা যে কোনো তাওয়াফের সময় রোকনে ইয়ামানি এবং হাজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে পড়া সুন্নাত।
যারা আল্লাহ কাছে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ পেয়ে ধন্য হবেন; তাদের জন্য পরকালের জীবন ও জাহান্নামের আগুনের আজাব থেকে মুক্তিও হবে সহজ।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণে উল্লেখিত দোয়াটি বেশি বেশি পড়ে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ কামনা করা। জাহান্নামের আগুনের ভয়াবহ আজাব থেকে মুক্ত থাকতে দোয়াটি বার বার পড়া। হাদিসের ওপর আমল করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্নাত ও গুরুত্বপূর্ণ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ কামনার পাশাপাশি জাহান্নামের আগুনের ভয়াবহ শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম