যাদের মুক্তির জন্য জান্নাত-জাহান্নামও সুপারিশ করবে
পরকালে চিরস্থায়ী মুক্তি ও প্রশান্তি লাভ মানুষের একমাত্র চাওয়া-পাওয়া। এর জন্য প্রয়োজন ঈমান ও নেক আমল। ঈমানদার ও নেক আমলকারীর জন্য পরকালীন মুক্তির আরও সুসংবাদ রয়েছে। তাদের জন্য জান্নাত ও জাহান্নাম সুপারিশ করবে। ছোট্ট দুইটি আমলেই মিলবে এ সুপারিশ। কী সেই ছোট্ট দুইটি আমল।
পরকালে চিরস্থায়ী জান্নাত পেতে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সহজ ও সুন্দর দুইটি আমলের কথা বলেছেন প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মুমিন মুসলমানের জন্য সহজ আমলটি সম্পর্কে হাদিসে পাকে সুস্পষ্ট সহজ দিকনির্দেশনা এসেছে-
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি তিনবার বেহেশত তালাশ করে, তাহলে বেহেশত আল্লাহর দরবারে আবেদন করে- ‘হে আল্লাহ! তাকে বেহেশত দান করো।’
আর যদি কোনো ব্যক্তি তিনবার জাহান্নাম থেকে মুক্তি চায়, তাহলে জাহান্নাম আল্লাহর দরবারে (এভাবে) আবেদন করে- ‘হে আল্লাহ! তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করো।’(তিরমিজি)
তাহলে আল্লাহর কাছে কীভাবে এ প্রার্থনা করবে মুমিন?
ঈমানদার ব্যক্তি সব সময়ই আল্লাহর কাছে এ আবেদন করে থাকে। যা বলতেও সহজ। তাহলো-
اَللَّهُمَّ اَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَ اَجْرِنَا مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাতা ও আঝিরনা মিনান নার।’ (৩ বার)
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও।’
মনে রাখতে হবে
জান্নাত, জাহান্নাম, দুনিয়া, আখিরাত, মানুষসহ সমগ্র সৃষ্টি আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন মানুষের কল্যাণের জন্য। পরকালে মানুষের ভালো-মন্দও আমলের উপর নির্ভর করবে। এমনকি কে কোথায় অবস্থান করবে; তাও।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত প্রতিদিন সব নামাজের সময় আল্লাহর কাছে সহজ ও ছোট্ট দোয়ার আমলটি করা। হাদিসের উপার যথাযথ আমল করা। কেননা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নাজাতের জন্য অল্প আমলই যথেষ্ট।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সহজ সহজ ও ছোট আমলগুলো বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন। জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে হাদিসের ছোট্ট আমলটি বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম