নামাজে নারীদের পোশাক যেমন হওয়া জরুরি
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দা ফরজ হলেও নামাজের ক্ষেত্রে উভয়ের পোশাক ও স্থানের ব্যাপারে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। নারীরা চাইলে যেমন পুরুষের পোশাকে নামাজ পড়তে পারবে না তেমনি উন্মুক্ত স্থানেও পর পুরুষের সামনে নামাজ পড়তে পারবে না। এ ব্যাপারে ইসলাম ও ইসলামিক স্কলারদের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। কী সেই সব দিকনির্দেশনা?
নামাজে নারীদের পোশাক
কোরআন সুন্নাহর আলোকে নারীদের নামাজের পোশাক সম্পর্কে বিশ্ববিখ্যাত ফতোয়ার কিতাবসহ সৌদী আরবের উলামা কমিটির সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। এমনিতেই নারীদের জন্য পরপুরুষের দৃষ্টির বাইরে নামাজ পড়া আবশ্যক। আর নামাজের সময় কেউ দেখুক কিংবা না দেখুক; আলো কিংবা অন্ধকারে, যেখানে-যেভাবেই নামাজ পড়ুক। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো সাবালিকা মেয়ের মাথায় চাদর ছাড়া তার নামাজই কবুল হয় না।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)
‘নারীদের লেবাসে চুল, পেট, পিঠ, হাতের কব্জির উপরি ভাগের অঙ্গ (কনুই, বাহু প্রভৃতি) কাপড়ে ঢাকা থাকতে হবে। তা বের হয়ে থাকলে নামাজ হবে না। শুধু চেহারা ও কব্জি পর্যন্তহাত উন্মুক্ত থাকবে। নারীদের নামাজে পায়ের পাতাও ঢেকে নেওয়া জরুরি।’ (মাজাল্লাতুল বুহুসিল ইসলামিয়াহ, ফাতোয়ায়ে ইসলামিয়াহ; সৌদি উলামা কমিটি)
‘নারীদের নামাজ পড়ার স্থানে যদি বেগানা (পর) পুরুষ থাকে তবে অবশ্যই চেহারাও ঢেকে নিতে হবে।’
‘ঘর অন্ধকার হলেও বা একা থাকলেও নামাজ পড়ার সময় যদি ফরজ সতর (ঢেকে রাখা আবশ্যক অঙ্গ থেকে কাপড়) সরে যায় বা কোনো অঙ্গ প্রকাশ পেয়ে যায় তবে নারীদের নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। এই নামাজ পুনরায় পড়তে হবে।’ (ফতোয়ায়ে ইসলামিয়াহ; সৌদি উলামা কমিটি)
সুতরাং নারীদের উচিত, নামাজের সময় বেগানা (পর) পুরুষের দৃষ্টির বাইরে শুধু হাত ও মুখ খোলা রেখে পুরো শরীর ঢেকে রাখা। আর যদি বেগানা (পর) পুরুষ থাকে তবে নামাজের সময় মুখসহ ঢেকে নামাজ পড়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নারীদের পর্দার সঙ্গে বেগানা পুরুষের দৃষ্টি বাইরে ফরজ সতরে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম