নামাজে নবিজী (সা.) যেভাবে সুরা ফাতিহা পড়তেন
সুরা ফাতিহা। নামাজে সুরাটি পড়া বাধ্যতামূলক। যদি কেউ নামাজে সুরা ফাতিহা না পড়ে তবে তার নামাজ হবে না। জামাতের ক্ষেত্রে ইমামের পেছনে মুক্তাদির সুরা ফাতেহা পড়া নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও সুরা ফাতিহা না পড়লে নামাজ হবে এমন কথা কেউ বলতে পারবে না। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজে সুরা ফাতিহা পড়েছেন। কিন্তু নামাজে তিনি কীভাবে সুরা ফাতিহা পড়তেন?
রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক আয়াত করে থেমে থেমে ধীর স্থিরভাবে সুরা ফাতিহা তেলাওয়াত করতেন। নামাজে সুরা ফাতিহা পড়া বাধ্যতামূলক। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাগরিব, ইশা (প্রথম দুই রাকাতে), ফজর, জুমা, তারাবিহ ও ঈদের নামাজে উচ্চ আওয়াজে সুরা ফাতিহা পড়তেন। এবং জোহর, আসর এবং সুন্নাত নামাজে নিঃশব্দে সুরা ফাতিহা পড়তেন।
সুরা ফাতিহা
الْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، اَلرَّحْمنِ الرَّحِيْم، مَالِكِ يَوْمِ الدِّيْن، إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِيْن، اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْم، صِرَاطَ الَّذِيْنَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّيْن।
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আররাহ্মানির রাহিম। মালিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন। ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন। ইহ্দিনাস সিরাত্বাল মুস্তাক্বিম। সিরাত্বাল্লাজিনা আন্আমতা আলাইহিম। গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়া লাদ্দল্লিন।
অর্থ : ‘সব প্রশংসা সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। যিনি অনন্ত করুণাময়, পরম দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক। আমরা কেবল তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছে সাহায্য চাই। আমাদের সরল পথ দেখাও; তাদের পথ যাদেরকে তুমি পুরস্কার দান করেছ। তাদের পথ নয় যারা অভিশপ্ত এবং যারা পথভ্রষ্ট।’
নবিজী সুরা ফাতিহা পড়তেন এভাবে-
সুরাটি তিনি থেমে থেমে পড়তেন- ‘বিসমিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম’ পড়ে থামতেন। এরপর আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’ বলে থামতেন। এভাবে প্রত্যেক আয়াত শেষে থেমে থেমে সুরা ফাতিহা পড়তেন।’ (আবু দাউদ, মুসতাদরাকে হাকেম)
সুতরাং উত্তম হলো, সুরা ফাতিহা তারতিলের সঙ্গে থেমে থেমে এক আয়াত এক আয়াত করে পড়া। সুরা ফাতেহাসহ কেরাত পড়ায় তাড়াহুড়া না করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজে ধীরস্থিরভাবে থেমে থেমে তারতিলের সঙ্গে সুরা ফাতিহা পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম