যে আজানে জান্নাত সুনিশ্চিত
নামাজের জন্য আহ্বান করাই ‘আজান’। ইসলামের অনুসারীরা আজানের শব্দ শুনেই মসজিদে নামাজের জামাতে শরিক হয়। ইসলামে আজানের গুরুত্ব ও অনেক বেশি। আর যিনি আজান দেন (মুয়াজ্জিন) তাঁর প্রতি আজান ও ইকামতের নেকি ছাড়াও জান্নাত সুনিশ্চিত। কীভাবে তা সম্ভব বর্ণনা করেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে-
১. হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যাক্তি ১২ বছর আজান দেয়; তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। (শুধু কি তা-ই!) আর প্রতি দিনের আজানের বিনিময়ে তার জন্য রয়েছে ৬০ নেকি এবং প্রতি ইকামতের জন্য ৩০ নেকি লেখা হয়।’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত, তারগিব)
২. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যাক্তি সাওয়াবের আশায় ৭ বছর আজান দেয়; আল্লাহ তাআলা তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির সনদ লিখে দেন।’ (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি)
কিন্তু কে আজান দেবে?
৩. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘অবশ্যই তোমাদের মধ্যকার উত্তম ব্যাক্তি আজান দেবে এবং তোমাদের মধ্যকার কোরআন তেলাওয়াতে উত্তম ব্যক্তি ইমামতি করবেন।’ (ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ)
আজান দেওয়া ব্যক্তির (মুয়াজ্জিনের) জন্য এ ঘোষণার অন্যতম কারণ হলো; তাঁর আহ্বানেই মসজিদে নামাজের জামাতে উপস্থিহ হয় মানুষ। যার ফলে তাদের সাওয়াবের অংশীদারও হয় মুয়াজ্জিন। কিন্তু আজানের শব্দ শুনে নামাজ পড়তে আসা ব্যক্তিদের সাওয়াব থেকে একটুও কমানো হয় না।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, আন্তরিকতার সঙ্গে নামাজের জন্য আজান দেওয়া। মানুষের নামাজের দিকে ডাকা। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিকতা ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে আজান দেওয়ার তাওফিক দান করুন। হাদসের ঘোষিত ফজিলত পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস