শিশুদের প্রতি নবিজী (সা.)-এর ভালোবাসা
প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিশুদের মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। শিশু-কিশোরদের মন হলো সরল, কোমল ও পবিত্র। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব শিশুকেই নিজের সন্তানের মতোই আদর-সোহাগ করতেন। চুমু খেতেন। আদর-সোহাগ ও ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের উন্নত নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করতেন। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুই এর জ্বলন্ত প্রমাণ।
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের মানুষ ছিলেন এবং সবার চেয়ে প্রশস্তচিত্তের মানুষ ছিলেন। তিনি আমাকে একদিন এক কাজে পাঠিয়েছিলেন, আমি বের হয়ে দেখি শিশুরা খেলছিল, আমিও তাদের সঙ্গে খেলতে চলে গেলাম।
হঠাৎ আমি অনুভব করলাম, একজন আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং আমার কাপড় স্পর্শ করছেন, আমি তার দিকে তাকালাম; দেখি তিনি মুচকি হাসছেন। বললেন হে ‘উনায়েস! তোমাকে যেখানে যেতে বলেছি সেখানে কি তুমি গিয়েছ?
আমি বললাম, জি এখনই যাবো হে আল্লাহর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
আল্লাহর কসম, আমি ১০ বছর তার খেদমত করেছি এর মাঝে আমি কোনো কাজ করলে তিনি কখনো বলেননি, ‘কেন তা করেছ’ আর কোনো কাজ না করলে তিনি কখনো বলেননি ‘কেন তা করোনি’।
শিশুদের ভালোবাসা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত। কেউ এ সুন্নাত ছেড়ে দিলে সে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয় বলেও ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে আমার সুন্নত ছেড়ে দেবে সে আমার উম্মতের কেউ নয়। তিনি আরো বলেছেন, যে আমার সুন্নত অনুসরণ করবে সে আমার দলভুক্ত।’ (হায়াতুস সাহাবা)
শিশুরা মানবসমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আজকর শিশুরাই আগামীর সম্ভাবনার উৎস। তাদের ওপর নির্ভর করে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। তাই শিশুদের প্রতি স্নেহ-ভালোবাসা, সহমর্মিতাপূর্ণ আচরণ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এ কারণেই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হৃদয় থেকে শিশুদের প্রতি ছিল গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ। শিশুদের প্রতি নবিজীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ ছিল উম্মতের জন্য শিক্ষা। তাতে ফুটে ওঠে ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তা ওঠে এসেছে-
১. শিশুদের প্রতি স্নেহ-মমতা
হজরত আমর ইবনে শুয়াইব তাঁর বাবা থেকে, তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান বোঝে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ)
২. শিশুদের চুমু দেওয়া
শিশুদের ভালোবেসে তাদের চুমু দেওয়াও সুন্নাত। তাদের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ করা এবং ভালোবেসে কাছে টেনে নেওয়া হলো স্বাভাবিক মানবিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও তাঁর নাতি হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে আদর কতেন। তাদের সঙ্গে সখ্যতা ও আন্তরিকতায় বিনোদনে মেতে উঠতেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, (একবার) রাসুলুল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাসান ইবনে আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ভালোবেসে চুমু খেলেন। সেখানে আকরা ইবনে হাবেস আত-তামিমি রাদিয়াল্লাহু আনহু উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আমার ১০ জন সন্তান আছে; আমি তাদের কাউকে কখনো চুমু খাইনি। রাসুলুল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার দিকে তাকান এবং বলেন, ‘যে দয়া করে না, তার প্রতিও দয়া করা হয় না।’ (বুখারি)
৩. ইয়াতিম শিশুদের ভালোবাসা
নিজেদের শিশু-সন্তানসহ সব শিশুকে ভালোবাসাই সুন্নাত। সুন্নাতে নববির অনুসরণে শিশুর প্রতিই স্নেহ-ভালোবাসা দেখাতে হবে। বিশেষ করে ইয়াতিম শিশুদের প্রতি স্নেহ-মমতায় সতর্ক ও যত্নশীল হওয়া জরুরি। আল্লাহ তাআলা প্রিয় নবিকে ইয়াতিমদের প্রতি স্নেহ মমতা প্রকাশের ব্যাপারে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন এভাবে-
‘তুমি কি এমন লোককে দেখেছ, যে দ্বীনকে অস্বীকার করে? সে তো ওই ব্যক্তি যে অনাথকে (ইয়াতিমদের নির্দয়ভাবে) রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়।’ (সুরা মাউন : আয়াত ১-২)
হজরত সাহাল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমি ও ইয়াতিমের প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে কাছাকাছি থাকব। এ কথা বলে তিনি তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল দ্বারা ইঙ্গিত করেন এবং এ দুটির মাঝে সামান্য ফাঁক রাখেন।’ (বুখারি)
৪. প্রতিবন্ধী শিশুদের স্নেহ-মমতা
শারীরিক কিংবা মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের স্নেহ-মমতার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়াও সুন্নাত। তাদের অবজ্ঞা বা অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। বিশেষ এক ঘটনায় প্রতিবন্ধী সাহাবার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মহান আল্লাহ আয়াত নাজিল করেছেন। একদিন রাসুলুল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরাইশ নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। এ অবস্থায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম রাদিয়াল্লাহু আনহু সেখানে উপস্থিত হয়ে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দ্বীন সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করেন। এতে আলোচনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটু বিরক্তি প্রকাশ করেন। সে সময় তিনি কুরাইশ নেতাদের মন রক্ষার্থে প্রতিবন্ধী সাহাবির প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেননি। মহান আল্লাহর কাছে বিষয়টি পছন্দনীয় হয়নি। তখনই আয়াত নাজিল হয়। আল্লাহ বলেন-
‘সে ভ্রুকুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল। কারণ তার কাছে অন্ধ লোকটি এলো। তুমি কেমন করে জানবে, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হতো অথবা উপদেশ গ্রহণ করত। ফলে উপদেশ তার উপকারে আসত। পক্ষান্তরে যে পরোয়া করে না, তুমি তার প্রতি মনোযোগ দিয়েছ।’ (সুরা আবাসা : আয়াত : ১-৬)
এরপর থেকে প্রিয় নবি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় প্রতিবন্ধীদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং আর প্রতিবন্ধী যদি শিশু হয় তবে তো কথাই নেই।
৫. শিশুদের নিয়ে বিজয় উল্লাস
মক্কা বিজয়ের সময় খুশিতে শিশুদের স্নেহ করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ বাহনে এক শিশু ও কিশোরকে উঠিয়েছেন। শিশুটি ছিল নবিজীর বড় মেয়ে জয়নবের শিশুপুত্র আলি আর কিশোরটি ছিল উসামা রাদিয়াল্লাহু আনহু।
৬. নবিজী শিশুদের বাহনে পরিণত হতেন
নবি নন্দিনী হজরত ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার দুই শিশুপুত্র হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা প্রিয় নবিকে বাহন বানিয়ে তাঁর পিঠে চড়তেন। কাঁধে উঠতেন। প্রিয় নবিও তাদের জন্য বাহনের মতো হয়ে তাদের পিঠে উঠাতেন এবং কাঁধে চড়াতেন। শুধু নাতি বলে নয়; সব শিশুকেই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমান আদর করতেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে শাদ্দাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, এক এশার নামাজে রাসুলুল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাসান অথবা হুসাইনকে কোলে নিয়ে আমাদের দিকে বেরিয়ে এলেন। রাসুলুল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের উদ্দেশ্যে সামনে অগ্রসর হয়ে তাকে রেখে দিলেন। তারপর নামাজের জন্য তাকবির বলেন ও নামাজ আদায় করেন। নামাজে একটি সিজদা লম্বা করলেন। আমার পিতা (শাদ্দাদ) বলেন, আমি আমার মাথা উঠালাম এবং দেখলাম, ওই ছেলেটি রাসুলুল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পিঠের ওপর আর আর তিনি সিজদারত। আমি সিজদায় ফিরে গেলাম। রাসুলুল্লাহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ শেষ করলে লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আপনার নামাজে একটি সিজদা এত লম্বা করলেন, যাতে আমরা ধারণা করলাম, হয়তো কোনো ব্যাপার ঘটে থাকবে অথবা আপনার ওপর ওহি নাজিল হয়েছে! তিনি বলেন, ‘এর কোনোটিই নয়; বরং আমার এ সন্তান আমাকে সোয়ারি বানিয়েছে। আমি তাড়াতাড়ি উঠতে অপছন্দ করলাম, যেন সে তার কাজ সমাধা করতে পারে।’ (নাসাঈ)
৭. শিশুদের স্নেহে নামাজ সংক্ষিপ্ত করা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সময় শিশুদের কান্নার আওয়াজ পেলেই নামাজ সংক্ষিপ্ত করে ফেলতেন। যাতে শিশুরা কষ্ট না পায়। হাদিসে পাকে এসেছে-
‘আমি নামাজ দীর্ঘায়িত করার ইচ্ছায় দাঁড়াতাম; কিন্তু যখন কোনো শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতাম, তখন নামাজ সংক্ষিপ্ত করতাম...।’ (বুখারি)
সর্বোপরি শিশুর প্রতি প্রিয় নবির ভালোবাসার নমুনা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন ও স্নেহ করতেন। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চেয়ে আর কাউকেও সন্তানের প্রতি এত অধিক স্নেহ-ভালোবাসা প্রকাশ করতে দেখিনি।’
তিনি প্রাণপ্রিয় কন্যা হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে খুবই স্নেহ করে প্রায়ই বলতেন, ‘ফাতেমা আমার কলিজার টুকরা’।
শিশু ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা যখন তাঁর কাছে যেতেন, তিনি উঠে দাঁড়াতেন এবং ফাতেমার হাত ধরে চুমু দিয়ে তাকে মজলিসে বসাতেন।’ (আবু দাউদ)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন, ‘সন্তান-সন্ততিকে সম্মান করো এবং তাদের উত্তম শিষ্টাচার শিক্ষা দাও।’ (ইবনে মাজাহ)
তাই শিশুদের প্রতি করণীয়
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ছোটদের হৃদয় দিয়ে ভালোবাসা ও স্নেহ করা। কথায় কথায় তাদের ধমক দেওয়া ও তিরস্কার করা থেকে বিরত থাকা। এছাড়াও-
> ছোটদের ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা। প্রথমত দু’একবার তাদেরকে নম্রভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার পর তাতে কাজ না হলে তখন সাধ্যের মধ্যে কঠোরতা অবলম্বন করায় কোনো দোষ নেই।
> সাধ্যের বাইরে তাদেরকে কাজের ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি না করা। তাদের আরাম-আয়েশ ও আরামদায়ক ঘুমের প্রভৃতির প্রতিও দৃষ্টি রাখা।
> ছোটদের প্রতি কখনো অতিরিক্ত রাগ বা ক্ষোভ প্রকাশ না করা। কোনো কারণে শাসন করলে পরবর্তী সময়ে তাদের মন খুশি করে দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
> শিশুদের মাত্রাতিরিক্ত নৈকট্য না দেওয়া আবার বেশি প্রশ্রয় না দেওয়া। যাতে সে একগুয়েমি অভ্যস্ত হয়ে না যায়।
> সত্য কথা বলার প্রতি ছোটদের অভ্যস্ত করে তোলা। ন্যায়ের দিকে ধাবিত করা।
> শিশুদের আদব শেখানো। আদব শেখাতে গিয়ে সুন্দর উত্তম উপদেশ ও গল্প বলা।
> ছোটদের কোনো কাজকে অবমূল্যয়ন না করা। কোনোভাবেই হেয় করা যাবে না। কেননা, ছোট হওয়া সত্ত্বেও তার মধ্যে এমন কোনো বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে, যা বড়দের মধ্যে নেই।
> ছোটদের সামনে নিজেরা শরিয়তসম্মত কাজ বেশি বেশি করার মাধ্যমে শিশুদের শেখানোর চেষ্টা করা। তাদের সামনে গর্হিত কোনো করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
মনে রাখতে হবে
শিশুদের আদর, স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়েই বড় করে তুলতে হবে। যথাযথ আদব-কায়দা ও ইসলামি মূল্যবোধ শিক্ষা দিতে হবে। তাহলেই তারা সত্য, সুন্দর ও ন্যয়ের পথে পরিচালিত হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিজ নিজ শিশু সন্তানকে উন্নত শিক্ষা ও ইসলামি মূল্যবোধের মাধ্যমে বড় করে গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। কোরআন-সুন্নাহর আমলে আলোকিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন্
এমএমএস/এমএস