জুমার দিন দোয়া কবুলের নির্ধারিত সময় কোনটি?
মুসলিমদের এক জায়গায় সমবেত হওয়া; নামাজ আদায় করা এবং বিনয়ের সঙ্গে আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাওয়া- দোয়া কবুলের পেছনে এসবের রয়েছে বিশেষ প্রভাব। জুমার দিনও এ রকম বিশেষ একটি সময় আছে যখন দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা তা কবুল করে নেন। সেই সময়টি কখন?
১. আসরের নামাজের পর
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, জুমার দিন একটি সময় আছে; যখন কোনো মুসলিম বান্দা আল্লাহর কাছে কোনো কল্যাণ চাইলে, তিনি তাকে তা অবশ্যই দেবেন। আর সেটি হলো আসরের পর।’ (বুখারি, মুসনাদে আহমাদ)
২. হজরত জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, জুমার দিন ১২ ঘণ্টা সময়; এর মধ্যে একটি সময় আছে এমন, যখন কোনো মুসলিম বান্দা আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে, তিনি তাকে তা অবশ্যই দেবেন। সুতরাং তোমরা আসরের পর শেষ সময়টুকুতে তা অনুসন্ধান কর।’ (আবু দাউদ)
৩. ইসলামিক স্কলাররা দোয়া কবুলের যে মতামত দিয়েছেন, তাহলো- জুমার দিন দোয়া কবুলের সেই সময়টি হলো আসরের পর। (যাদুল মাআদ)
৪. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিনের আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘এতে (এ দিনে) কিছু সময় আছে এমন, যখন কোনো মুসলিম বান্দা দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে কিছু চায়; তিনি তাকে তা অবশ্যই দেবেন। তিনি হাতের ইশারায় দেখিয়ে দেন যে, ওই সময়টি (খুবই) অল্প।’ (বুখারি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জুমার দিন আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টিতে বেশি বেশি দোয়া করা। দরূদ শরিফ পড়া। কোরআন তেলাওয়াত করা। হাদিসের ওপর আমল করা। আশা করা যায়, মহান আল্লাহ বান্দার সব চাওয়া-পাওয়া পূরণ করে দেবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ে ক্ষমা-প্রার্থনা, দোয়া-দরূদ ও তাওবা-ইসতেগফার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম