চোখ ওঠার কারণে পানি পড়লে কি অজু ভেঙে যাবে?

চোখ ওঠার কারণে চোখ দিয়ে যে পানি বের হয় তা চোখের সাধারণ পানি, নাপাক পানি নয়। তাই এই পানি বের হওয়ার কারণে ওজু ভাঙবে না।
তবে জখম বা কোনো অসুস্থতার কারণে চোখের ভেতর থেকে যদি তরল রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পড়ে, তাহলে হানাফি মাজহাব অনুযায়ী অজু ভেঙে যাবে যেমন শরীরের অন্যান্য জায়গা থেকে রক্ত বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে অজু ভেঙে যায়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
শরীরের কোনো জায়গা থেকে তরল রক্ত, পুঁজ বের হলে অজু ভাঙবে কি না এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরামের দুটি মত রয়েছে। অনেক আলেমের মতে শরীর থেকে রক্ত বের হলে অজু ভাঙবে না।
ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ও হানাফি ওলামায়ে কেরামের মতে শরীরের কোনো জায়গা থেকে যদি এক ফোঁটার চেয়ে বেশি তরল রক্ত বের হয় যা গড়িয়ে পড়ে বা না মুছে ফেললে গড়িয়ে পড়তো এই পরিমাণ হয়, তাহলে অজু ভেঙে যাবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
হানাফি ওলামায়ে কেরামের মতে ওজু ভঙ্গের জন্য বের হওয়া রক্ত প্রবহমান ও গড়িয়ে পড়ার মতো হতে হবে। চোখ বা অন্য কোনো জায়গা থেকে গড়িয়ে পড়ার মতো নয় এত কম বা জমাট রক্ত বের হলে হানাফি ওলামায়ে কেরামের মতেও অজু ভাঙবে না।
যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়
১. পেশাব ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে পেশাব, পায়খানা, বাতাস, ক্রিমি ইত্যাদিসহ যে কোনো কিছু বের হলে অজু ভেঙে যায়।
বিজ্ঞাপন
২. শরীরে যে কোনো জায়গা থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে অজু ভেঙে যায়।
৩. খাবার, পানি, রক্ত বা পিতের পানি মুখ ভরে বমি হলে অজু ভেঙে যাবে। অল্প অল্প করে কয়েক বার যদি বমি হয় এবং সবগুলোর মিলিত পরিমাণ যদি মুখ ভরে কৃত বমির সমান হয়, তাহলেও অজু ভেঙে যায়।
৪. দাঁত বা মাড়ি থেকে অল্প রক্ত বের হলে অজু ভাঙবে না। কিন্তু যদি বেশি রক্ত বের হয়, থুথু ফেললে যদি দেখা যায় থুথুর চেয়ে রক্তের পরিমাণ বেশি, তাহলে অজু ভেঙে যায়।
বিজ্ঞাপন
৫. যৌনাঙ্গ থেকে মযী (অর্থাৎ যৌন উত্তেজনার সময় বীর্য বের হওয়ার আগে সাধারণত যা নির্গত হয়) বের হলে অজু ভেঙে যায়।
৬. নারীদের যৌনাঙ্গ থেকে ইস্তেহাযার রক্ত বের হলে অজু ভেঙে যায়। (হায়েয নেফাস ছাড়া কোনো অসুস্থতার কারণে নারীদের যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত বের হলে তাকে ইস্তেহাযা বলা হয়।)
৭. নারীদের স্তন থেকে দুধ ছাড়া অন্য কিছু যেমন রক্ত, পূজ বা শরীরের রস বের হলে অজু ভেঙে যায়।
বিজ্ঞাপন
৮. নারীরা নিজেদের যৌনাঙ্গে আঙুল প্রবেশ করালে অজু ভেঙে যায়।
৯. পেছনের রাস্তা দিয়ে বাতাস বের হতে পারে এমনভাবে ঘুমালে, কিছুক্ষণ বেহুশ থাকলে বা উন্মাদ থাকলে অজু ভেঙে যায়।
১০. নামাজের মধ্যে অট্টহাসি হাসলে অজু ভেঙে যায়।
বিজ্ঞাপন
ওএফএফ/জিকেএস
বিজ্ঞাপন