ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

জুমাতুল বিদায় যে আমল করবেন

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২৫

আমাদের দেশে `জুমাতুল বিদা’ বলে রমজানের বিদায়ী জুমা বা শেষ জুমা বোঝানো হয় এবং অনেকে মনে করে ইসলামে এ দিনের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এমন কি এ দিনের বিশেষ আমল ও নামাজের কথাও অনেকে প্রচার করে থাকেন। এগুলো একেবারেই ভিত্তিহীন ভুল ধারণা। জুমাতুল বিদা একটি নব আবিস্কৃত পরিভাষা; এই শব্দটি কোরআন হাদিসে পাওয়া যায় না। এ দিনের বিশেষ কোনো ফজিলত বা আমলও কোরআন-হাদিসে পাওয়া যায় না।

রমজানের শেষ জুমা রমজানের অন্যান্য জুমার মতোই ফজিলতপূর্ণ। জুমার দিনের বিশেষ যে আমলগুলো সারা বছরই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ, রমজানে সেগুলোর সওয়াব বহুগুণ বেড়ে যায়। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, পবিত্র রমজনের একটি রাত বরকত ও ফজিলতের দিক থেকে হাজার মাস থেকেও উত্তম। এ মাসের রোজাকে আল্লাহ তাআলা ফরজ করেছেন এবং এর রাতগুলোয় আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোকে নফল ইবাদত রূপে নির্দিষ্ট করেছেন। যে ব্যক্তি রমাযানের রাতে ফরজ ইবাদত ছাড়া সুন্নত বা নফল ইবাদত করবে, তাকে এর বিনিময়ে অন্যান্য সময়ের ফরজ ইবাদতের সমান সওয়াব প্রদান করা হবে। আর যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো ফরজ আদায় করবে, সে অন্যান্য সময়ের ৭০টি ফরজ ইবাদতের সমান পুণ্য লাভ করবে। (বায়হাকি)

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জুমাতুল বিদার বিশেষ কোনো আমল নেই। তবে জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল আছে যা রমজানে ও রমজানের বাইরে প্রত্যেক জুমার দিন ‍পালন করা উচিত। ওই আমলগুলোই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এ দিন পালন করুন:

১. জুমার নামাজের প্রস্তুতি হিসেবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে ভালোভাবে গোসল করুন। দাঁত ব্রাশ/ মিসওয়াক করুন, সম্ভব হলে সুগন্ধী ব্যবহার করুন এবং উত্তম পোশাক পরিধান করুন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

২. জুমার নামাজের জন্য দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করুন। ইমাম খুতবা শুরু করার আগে অবশ্যই মসজিদে উপস্থিত হোন। ইমামের কাছাকাছি বসার চেষ্টা করুন। তবে মসজিদে পৌছতে দেরি হলে অন্যদের কষ্ট দিয়ে কাতার ডিঙ্গিয়ে সামনে যাবেন না; যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই বসে পড়ুন।

৩. মনযোগ দিয়ে খুতবা শুনুন। খুতবার সময় কথা বলবেন না। অন্য কাউকে চুপ থাকতে বলার প্রয়োজন হলে ইশারায় বলুন। উত্তমরূপে জুমার নামাজ আদায় করুন।

বিজ্ঞাপন

আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যাক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর মসজিদে যায়, মানুষকে ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকে, তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ নামাজ আদায় করে, ইমাম যখন খুতবার জন্য বের হন তখন চুপ থাকে, তার এ জুমা এবং পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি)

৪. জুমার দিন বেশি বেশি দরূদ পাঠ করুন। রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম দিন হচ্ছে জুমআর দিন। সুতরাং ঐ দিন তোমরা আমার উপর অধিকমাত্রায় দরূদ পড়। কেননা, তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়। (সুনানে আবু দাউদ)

৫. আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। জুমার দিনের যে কোনো একটি সময় আল্লাহ তাআলা দোয়া করার সাথে সাথেই কবুল করে নেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একদিন রাসুল সা. জুমার উল্লেখ করে বলেছেন, এ দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যে কোন মুসলিম বান্দা যদি এ সময় নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহ্‌র কাছে কিছু চায়, তা হলে তিনি তাকে অবশ্যই তা দান করে থাকেন। রাসুল (সা.) হাত দিয়ে ইশারা করে বুঝিয়ে দিলেন যে, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত। (সহিহ বুখারি)

বিজ্ঞাপন

৬. সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করুন। জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা আল কাহাফ পড়বে, তার তার জন্য পরবর্তী জুমা পর্যন্ত নুর হবে। (সহিহুল জামে)

ওএফএফ/এমএস

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন