ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

তারাবির তিলাওয়াতে আজ

যেদিন মানুষ দাঁড়াবে আল্লাহর সামনে

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:১৭ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২৫

আজ (২৭ মার্চ) ২৬ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ২৭তম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের ৩০ নং পারা বা সর্বশেষ পারা তিলাওয়াত করা হবে। এ পারায় রয়েছে সুরা নাবা, সুরা নাজিআত, সুরা আবাসা, সুরা তাকভীর, সুরা ইনফিতার, সুরা মুতাফফিফীন, সুরা ইনশিকাক, সুরা বুরূজ, সুরা তারিক, সুরা আ’লা, সুরা গাশিয়াহ, সুরা ফাজর, সুরা বালাদ, সুরা শামস, সুরা লাইল, সুরা দ্বুহা, সুরা ইনশিরাহ, সুরা তীন, সুরা আলাক, সুরা কদর, সুরা বাইয়্যিনাহ, সুরা জিলজাল, সুরা আদিয়াত, সুরা কারিয়া, সুরা তাকাসুর, সুরা আসর, সুরা হুমাজাহ, সুরা ফীল, সুরা কুরাইশ, সুরা কাউসার, সুরা মাউন, সুরা কাফিরূন, সুরা নাসর, সুরা মাসাদ, সুরা ইখলাস, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস।

পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে:

১. ৩০ নং পারার বেশিরভাগ সুরায় আল্লাহ তাআলা কেয়ামত ও আখেরাতের জীবনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলার সামনে একদিন সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে ও কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে তা কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। যেন আমরা দুনিয়ার ভোগ বিলাসে গাফেল না থেকে হিসাব ও আখেরাতের জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি। সুরা নাবায় আল্লাহ তাআলা বলেন, যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্য বলবে। এই দিবস সুনিশ্চিত; অতএব যার ইচ্ছা সে তার রবের শরণাপন্ন হোক। আমি তো তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম; সেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম প্রত্যক্ষ করবে এবং কাফির বলবে, ‘হায়, আমি যদি মাটি হতাম!’ (সুরা নাবা: ৩৮-৪০)

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সুরা কারিয়ায় আল্লাহ তাআলা বলেন, মহাবিপদ! কী সেই মহাবিপদ? মহাবিপদ সম্পর্কে তুমি কী জান? যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মত, আর পর্বতরাজি হবে ধূনিত রঙিন পশমের মত। তারপর যার (নেক কাজের) পাল্লা ভারি হবে, সে লাভ করবে সুখী জীবন। আর যার (নেক কাজের) পাল্লা হালকা হবে, তার আবাস হবে হাবিয়া। ‍তুমি কি জান হাবিয়া কী? উত্তপ্ত আগুন। (সুরা কারিয়া: ১-১১)

২. আমাদের জীবনে আল্লাহ তাআলার যে অপরিসীম দয়া ও অনুগ্রহ রয়েছে সেজন্য আল্লাহ তাআলার শোকর আদায় করা এবং দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলার অন্য বান্দাদের প্রতিও দয়া ও অনুগ্রহ করা আমাদের কর্তব্য। সুরা দ্বুহায় আল্লাহ তাআলা তার নবিকে (সা.) বলেন, তিনি কি তোমাকে এতিম অবস্থায় পাননি? তারপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। তিনি তোমাকে পেয়েছেন পথহারা, তারপর পথ দেখিয়েছেন। তিনি তোমাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, তারপর অভাবমুক্ত করেছেন। সুতরাং তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না; ভিক্ষুককে ধমক দিও না, এবং তোমার রবের নেয়ামতের কথা বর্ণনা করো। (সুরা দ্বুহা: ৬-১১)

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩. দুনিয়ার জীবনে কিছু খারাপ সময় আসে, আল্লাহর পরীক্ষা ও কষ্ট আসে, কিন্তু কষ্টের পরেই থাকে সস্তি ও সুখ। বিপদ-আপদে আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে নিরাশ না হয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করা, ধৈর্য ধারণ করা ও আল্লাহর করুণায় আশাবাদী থাকা উচিত। আর আল্লাহ তাআলা যখনই অবসর দেন, সুযোগ দেন, তখনই একনিষ্টভাবে আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন হওয়া উচিত। সুরা ইনশিরাহে আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় কষ্টের সাথেই রয়েছে সুখ। নিশ্চয় কষ্টের সাথেই রয়েছে সুখ। অতএব যখনই তুমি অবসর পাবে, তখনই কঠোর ইবাদাতে রত হও। (সুরা ইনশিরাহ: ৫-৭)

৪. মানুষের জীবনে যখন সফলতা আসে, তখন বেশি বেশি আল্লাহর শোকর ও কৃতজ্ঞতা আদায় করা আবশ্যক। ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা আবশ্যক। সুরা নাসরে আল্লাহ তাআলা বলেন, যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবে, তখন তুমি তোমার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা কর এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী। (সুরা নাসর: ১-৩)

বিজ্ঞাপন

ওএফএফ/জেআইএম

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন