ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

পাঞ্জেগানা মসজিদে ইতেকাফ করা যাবে কি?

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:১০ এএম, ২১ মার্চ ২০২৫

কোনো মসজিদে এক বা একাধিক দিন দুনিয়াবি কাজকর্ম থেকে অবসর নিয়ে সওয়াবের নিয়তে অবস্থান করাকে ইতেকাফ বলে। ইতেকাফ ইসলামে ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে নির্দেশ দিলাম, তোমরা আমার ঘরকে তওয়াফকারী, ইতেকাফকারী ও রুকু–সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। (সুরা বাকারা: ১২৫)

রমজানের শেষ দশ দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল ইতেকাফ করা। শরিয়তে এই ইতেকাফ সুন্নতে মুআক্কাদা কেফায়া। কোনো মহল্লা বা এলাকা থেকে একজন ইতেকাফ করলে পুরো মহল্লাবাসীর পক্ষ থেকে এটি আদায় হয়ে যাবে। কেউ ইতেকাফ না করলে সবাই গুনাহগার হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) (প্রতি) রমজানে শেষ দশ দিন ইতেকাফ করতেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

আয়েশা (রা.) বলেন, নবিজি (সা.) মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত রমজানের শেষ দশ দিন ইতেকাফ করেছেন। এরপর তার স্ত্রীগণও (তার সুন্নত অনুসরণ করে রমজানের শেষ দশ দিন) ইতেকাফ করতেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জামে মসজিদের পাশাপাশি পাঞ্জেগানা মসজিদেও (অর্থাৎ যে মসজিদে জুমা আদায় করা হয় না, শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়) ইতেকাফ করা যায়। রমজানের শেষ দশ দিনের সুন্নত ইতেকাফও পাঞ্জেগানা মসজিদে করা যেতে পারে। তবে সেটি যথাযথ শর্ত অনুযায়ী মসজিদ হতে হবে। অস্থায়ী নামাজঘরে ইতেকাফ শুদ্ধ হয় না।

পাঞ্জেগানা মসজিদে যারা ইতেকাফ করবে, তারা জুমার সময় ওই মসজিদে থেকে বের হয়ে নিকটবর্তী জামে মসজিদে গিয়ে জুমা আদায় করবে। জুমার আগে আগে বের হবে এবং জুমা শেষ হওয়ার পর দেরি না করে ইতেকাফের মসজিদে ফিরে আসবে। জুমার জন্য বের না হয়ে পাঞ্জেগানা মসজিদে জোহর আদায় করা জায়েজ হবে না।

বিজ্ঞাপন

ওএফএফ/এমএস

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন