ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

তারাবির তিলাওয়াতে আজ

এক আল্লাহর ইবাদত ও ন্যায়বিচারের নির্দেশ

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:০৭ পিএম, ২০ মার্চ ২০২৫

আজ (২০ মার্চ) ১৯ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ২০তম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের ২৩ নং পারা তিলাওয়াত করা হবে। এ পারায় রয়েছে সুরা ইয়াসিনের কিছু অংশ, সুরা সোয়াদ ও সুরা যুমারের কিছু অংশ।

পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে:

১. আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে সব মানুষকে সমান ধন-সম্পদ দান করেন না। তিনি বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন অবস্থায় রাখেন। কাউকে তিনি অঢেল সম্পদ দান করেন, কাউকে অভাবে রাখেন। কাউকে কম রিজিক দেন, কাউকে বেশি রিজিক দেন। এটা আল্লাহ তাআলার পরীক্ষার অংশ। আল্লাহ তাআলা দেখতে চান, অভাবী অভাবে পড়ে ধৈর্যধারণ করতে পারে কি না, সম্পদশালীরা অভাবগ্রস্তদের দান করে কি না, তাদের সাথে উত্তম আচরণ করে কি না। তাই এ রকম ভাবা সঠিক নয় যে আল্লাহ তাআলা কাউকে দরিদ্র রেখেছেন এর মানে তাকে দান করার প্রয়োজন নেই, আল্লাহ তাআলা তাকে দরিদ্রই দেখতে চান। দাম্ভিক কাফেররা অনেক সময় দান না করার অজুহাত হিসেবে এ রকম উদ্ভট যুক্তি দেয়। তাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছেন তা থেকে তোমরা ব্যয় কর, তখন কাফেররা মুমিনদেরকে বলে, আমরা কি তাকে খাদ্য দান করব, আল্লাহ চাইলে যাকে খাদ্য দান করতেন? তোমরা তো স্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় রয়েছ। আর তারা বলে, এ ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে তা বল যদি তোমরা সত্যবাদী হও। তারা তো কেবল এক বিকট আওয়াজের অপেক্ষা করছে যা তাদেরকে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত অবস্থায় পাকড়াও করবে। (সুরা ইয়াসিন: ৪৭-৪৯)

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

২. শয়তান মানুষের সুস্পষ্ট শত্রু। সে মানুষকে আল্লাহ তাআলার পথ থেকে, হেদায়াত ও সফলতার পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ভ্রষ্টতা ও ভ্রান্তির পথে পরিচালিত করে। আল্লাহ তাআলা শয়তানের ধোঁকা ও প্ররোচনা থেকে বেঁচে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাঁরই আনুগত্য ও ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কিছু মানুষ শয়তানকে শত্রু হিসেবে চিনতে পারে না। না বুঝে তার আনুগত্য করে, পূজা করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে বনি আদম, আমি কি তোমাদেরকে এ মর্মে নির্দেশ দেইনি যে, তোমরা শয়তানের উপাসনা করো না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের সুস্পষ্ট শত্রু? আমারই ইবাদাত কর, এটিই সরল পথ। অবশ্যই শয়তান তোমাদের বহু দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা অনুধাবন করনি? (সুরা ইয়াসিন: ৬০-৬২)

৩. দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলা যাদের শাসনক্ষমতা ও বিচার-আচারের দায়িত্ব দান করেছেন, তাদের কর্তব্য ন্যায়বিচার করা। বিচার-আচারের ক্ষেত্রে স্বার্থ না দেখা, স্বজনপ্রীতি না করা বা অন্য যে কোনোভাবে নিজের প্রবৃত্তি বা খেয়ালখুশির অনুসরণ না করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, (আমি আমার নবি দাউদকে নির্দেশ দিয়েছিলাম) হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি করেছি, কাজেই তুমি মানুষের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে শাসন-বিচার পরিচালনা কর, এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। কেননা, তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে ফেলবে। যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্য আছে কঠিন আজাব, কারণ তারা হিসাব-নিকাশের দিনকে ভুলে গেছে। (সুরা সোয়াদ: ২৬)

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ওএফএফ/জিকেএস

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন