জিলহজের প্রথম দশক যে তাকবির বেশি পড়তে বলেছেন বিশ্বনবি
জিলহজ মাসে মুমিন মুসলমানের জন্য নির্ধারিত ৫ দিনে ২৩ ওয়াক্ত নামাজে তাকবিরে তাশরিক ওয়াজিব আমল। আর দশকজুড়ে এ আমলটি বেশি বেশি করতে বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জিলহজ মাসের প্রথম দশকে তোমরা বেশি বেশি তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) বলবে।’ (মুসনাদে আহমাদ)
তাকবিরে তাশরিক হলো-
اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَ اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر وَ للهِ الْحَمْد
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’
ওয়াজিব আমলের সময় ও নিয়ম
হজের দিন (৯ জিলহজ) ফজর নামাজের পর থেকে ১৩ জিলহজ আসর নামাজ পর্যন্ত মোট ৫ দিন ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর নারী-পুরুষ (প্রাপ্তবয়স্ক) সবার জন্য ১ বার তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। পুরুষরা উচ্চস্বরে পড়লেও নারীরা তা নিচু আওয়াজে পড়বে। তবে ফরজ নামাজের পর একবার পড়া ওয়াজিব আর তারপর একাধিকবার পড়া মোস্তাহাব।
সুন্নাতের অনুসরণে তাকবিরের আমল
জিলহজ মাসের শুরু থেকে নির্ধারিত দিনগুলো ছাড়াও পুরো দশকজুড়ে বেশি বেশি তাকবিরে তাশরিক পড়া সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চলাফেরা, উঠা-বসা তথা সব সময় বেশি বেশি তাকবিরে তাশরিক পড়বেন।
উল্লেখ্য, ১৪৪২ হিজরি সনের শেষ মাস জিলহজ চলছে। আগামী ২১ জুলাই মোতাবেক ১০ জিলহজ পবিত্র ঈদুল আজহা ও কুরবানি অনুষ্ঠিত হবে। ঈদুল আজহা, হজ ও কুরবানির জন্য অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসের মর্যাদা অনেক বেশি। আর এ মাসটির প্রথম দশকজুড়ে বেশি বেশি তাকবির, তাহলিল ও তাহমিদ বেশি বেশি পড়ার কথা বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, তাকবিরে তাশরিকের নির্ধারিত ৫ দিন ২৩ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়াও পুরো দশকজুড়ে বেশিবেশি এ তাকবির পড়ার মাধ্যমে সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণ করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের অনুসরণে চলতি দশকজুড়ে বেশি বেশি তাকবির, তাহলিল ও তাহমিদ বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম