পূর্ণ পর্দাসহ নারীরা চাকরি করতে পারবে কি?
সমাজের রক্ষণশীল অনেক নারীর মনে জন্ম নেওয়া একটি প্রশ্ন- পূর্ণ পর্দাসহ নারীরা কি চাকরি করতে পারবেন? নারীদের চাকরি সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা কি?
নারীদের জন্য পর্দা করা ফরজ। নারীর জন্য পর্দা আল্লাহর তাআলার হুকুম। পর্দার লঙ্ঘন হয়; নারীদের জন্য এমন কোনো কাজই ইসলামে অনুমোদন নেই। আর তা নারীদের জন্য শোভনীয়ও নয়। বিষয়টি স্বাভাবিক দৃষ্টিতে যেমন দৃষ্টিকটু তেমনি বিচার দিবসে আল্লাহর কাছেও জবাবদিহি করতে হবে। পর্দার মতো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করার জন্য দাঁড়াতে হবে আল্লাহর কাঠগড়ায়। জ্বলতে হবে জাহান্নামের আগুনে। কিন্তু পূর্ণ পর্দাসহ নারীরা কি চাকরি করতে পারবেন?
এক ব্যক্তি সমাজের রক্ষণশীল অনেক নারীর মনে জন্ম নেওয়া এমন একটি প্রশ্নই দারুল ইফতা দেওবন্দের কাছে জানতে চেয়েছেন। প্রশ্নকারী তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন-
‘নেক উদ্দেশ্যে পূর্ণ পর্দাসহ নারীরা চাকরি করতে পারবেন কিনা? যেমন, গরিবদের সাহায্য করার জন্য বা মসজিদ নির্মাণে অর্থ সহায়তা করার জন্য। মোটকথা যেকোনো ভালো কাজের উদ্দেশে্য পূর্ণ পর্দাসহ নারীদের চাকরি করার বিধান কী?’
জবাবে দারুল ইফতা দেওবন্দ থেকে বলা হয়-
‘চাকরির ক্ষেত্র বা চাকরিস্থল (যেখানে চাকরি করবে) যদি নারীর সঙ্গে পুরুষের সংমিশ্রণ না থাকে ও ঘর থেকে অফিসে যাওয়া আসার মাঝখানে কোনো ধরনের ফেতনা সৃষ্টির আশঙ্কা না হয়; তবে নারীরা শরীয়তের পূর্ণ পর্দাসহ বৈধ যে কোনো চাকরি করতে পারবেন। এতে না জায়েজের কিছু নেই।’
আর মাস শেষে প্রাপ্ত সে চাকরির বেতন চাই নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করুক। অথবা অন্য কোনো কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করুক। এতে কোনো সমস্যা নেই। তা হতে পারে- গরিব-অসহায়দের সাহায্য করা কিংবা মসজিদ নির্মাণ ইত্যাদি।
উল্লেখ্য দেশের প্রায় সব পেশায় বাড়ছে নারী কর্মীর সংখ্যা। স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীরাও নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা কর্মক্ষেত্রে সময় দিচ্ছে। এ ছাড়াও শিক্ষা থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা, সামরিক-বেসামরিক, সরকারি-বেসরকারি খাতে চিকিৎসা, সাংবাদিকতা, ড্রাইভিংসহ কমবেশি ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় সব পেশাতেই এখন নারীদের সংখ্যা বাড়ছে।
উল্লেখিত সব ক্ষেত্রেই পূর্ণ পর্দাসহ নারীর চাকরির সুযোগ রয়েছে, যদি পর্দার বিধান পালন করা যায়। কেননা নারীর জন্য পর্দা হলো ফরজ। আবার এ চাকরি যদি শুধু নারীদের সেবা বিভাগে হয় তাহলেও তা বৈধ। পর্দার সুযোগ না থাকলে ইসলামি শরিয়তে স্বাভাবিকভাবে নারীর জন্য চাকরি অনুমোদিত নয়।
এমএমএস/এএসএম