যে দোয়া পড়লে কোনো অসুস্থতা স্পর্শও করবে না
অসুস্থ ব্যক্তির সেবা ও সুস্থতার জন্য দোয়া করা সুন্নাত। আবার রোগীকে দেখে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলে ওই রোগ স্পর্শও করবে না বলেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সে কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসুস্থ ও বিপদগ্রস্ত লোক দেখলে নিজের সুস্থতা ও নিরাপদ থাকার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতেন এভাবে-
ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻋَﺎﻓَﺎﻧِﻲ ﻣِﻤَّﺎ ﺍﺑْﺘَﻠَﺎﻙَ ﺑِﻪِ ﻭَﻓَﻀَّﻠَﻨِﻲ ﻋَﻠَﻰ ﻛَﺜِﻴﺮٍ ﻣِﻤَّﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺗَﻔْﻀِﻴﻠًﺎ
উচ্চারণ : ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আ-ফানি মিম্মাবতালাকা বিহি ওয়া ফাদদলানি আলা কাছিরিম মিম্মান খলাকা তাফদিলা।‘
অর্থ : ‘সব প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, তিনি তোমাকে যে ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছেন, তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং তার অসংখ্য সৃষ্টির ওপর আমাকে সম্মান দান করেছেন।
হাদিসের নির্দেশনা এমন-
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কেউ রোগে-শোকে কিংবা বিপদে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিকে দেখলে (নিজের এ বিপদ মুক্তির কারণে) এভাবে আল্লাহর প্রশংসা বাক্য বলবে (এ দোয়া পড়বে)-
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِىْ عَافَانِىْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ وَ فَضَّلَنِىْ عَلَى كَثِيْرٍ مِّمَنْ خَلَقَ تَفْضِيْلَا
উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আফানি মিম্মানিবতালাকা বিহি; ওয়া ফাদ্দালানি আলা কাছিরিম মিম্মান খালাকা তাফদিলা।’
অর্থ : সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তোমাকে (রোগ-শোকে) বিপদগ্রস্ত করেছেন; তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তিনি তার মাখলুক থেকে মাখলুকের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।’ তখন তাকে এ (রোগ-শোক) মুসিবত কখনো স্পর্শ করবে না।’ (তিরমিজি)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অসুস্থ ও মুসিবতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেখে নিজেদের সুস্থ থাকার শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করে নিরাপদ থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম