ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

রমজানে যে প্রিয় বস্তু দানেই মিলবে সবচেয়ে বেশি কল্যাণ

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২১

দান আল্লাহর কাছে প্রিয় ইবাদত। তারপরও মহান আল্লাহ এ মর্মে ঘোষণা দেন যে, কখনও কল্যাণ পাবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে ব্যয় না করবে। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে আল্লাহ তা জানেন।’ মসজিদে মসজিদে এ ঘোষণা মাধ্যমে হাফেজে কুরআনগণ আজকের তৃতীয় তারাবিহ শুরু করবেন।

আজ তৃতীয় তারাবিহ পড়া হবে। সুরা আল-ইমরানের ৯২ আয়াত থেকে সুরা নিসার ৮৭ আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। সুরা আল-ইমরানের ৯২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা মানুষকে সবচেয়ে প্রিয় বস্তু তার পথে ব্যয় করার নির্দেশ দেন এভাবে-
لَن تَنَالُواْ الْبِرَّ حَتَّى تُنفِقُواْ مِمَّا تُحِبُّونَ وَمَا تُنفِقُواْ مِن شَيْءٍ فَإِنَّ اللّهَ بِهِ عَلِيمٌ
কখনও কল্যাণ পাবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে ব্যয় না করবে। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে আল্লাহ তা জানেন।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৯২)

রহমতের মাস রমজানে প্রত্যেকের জন্য বরকতময় আমল হলো নিজেদের সবচেয়ে বেশি প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাস্তায় দান করা। এ আয়াত নাজিলের পর যেভাবে সাহাবায়ে কেরাম তাদের সবচেয়ে প্রিয় বস্তুর খোঁজে মনোনিবেশ করেছিলেন এবং তাঁরা সবচেয়ে প্রিয় বস্তু আল্লাহর পথে দানও করেছিলেন। করোনা মহামারির এ সময়ে রমজানে মানবেতর জীবন কাটানো মানুষের জন্য এটিই হোক এবারের রমজানের সর্বোত্তম শিক্ষা।

মদিনার আনসারি সাহাবিদের মধ্যে হজরত আবু তালহা আনসারি ছিলেন অনেক ধনী। মদিনায় সবচেয়ে বেশি খেজুরের বাগান ছিল তাঁর। শুধু তা-ই নয়, মসজিদে নববির পাশে সবচেয়ে প্রিয় ও দামি খেজুর বাগানও ছিল এটি। এ বাগানটির নাম ছিল ‘বায়রুহা’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাঝে মাঝে প্রবেশ করতেন এবং বাগানের মিষ্টি মধুর পানি পান করতেন।

যখন কুরআনুল কারিমের এ আয়াতটি নাজিল হয়-
لَن تَنَالُواْ الْبِرَّ حَتَّى تُنفِقُواْ مِمَّا تُحِبُّونَ وَمَا تُنفِقُواْ مِن شَيْءٍ فَإِنَّ اللّهَ بِهِ عَلِيمٌ
কখনও কল্যাণ পাবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে ব্যয় না করবে। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে আল্লাহ তা জানেন।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৯২)

তখন হজরত আবু তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহ তাআলা বলেন- তোমরা নিজের প্রিয় বস্তু দান না করা পর্যন্ত কল্যাণ পাবে না। আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় বস্তু হালো- আমার ‘বায়রুহা’ বাগান। তাই আমি এটা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিলাম। আমি এর কল্যাণ আল্লাহর কাছে সঞ্চিত রাখতে চাই। সতুরাং আপনার ইচ্ছামতো একে ব্যয় করুন।’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তা লাভজনক সম্পদ; তা লাভজনক সম্পদ। আমি তোমার কথা শুনেছি। আমি মনে করি তোমার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বাগানটি দান করে দিলে ভালো হতো।

হজরত আবু তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘তা আমি করে নেব ইয়া রাসুলুল্লাহ! অতঃপর তিনি বাগানটি তার আত্মীয় ও চাচার সন্তানদের মধ্যে বণ্টন করে দেন। অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে, তিনি বাগানটি হজরত হাস্সান বিন সাবেত ও উবাই ইবনে কাবের মধ্যে বণ্টন করে দেন।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, মুসনাদে আহামদ, নাসাঈ)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে গরিব অসহায়দের মাঝে নিজেদের সর্বোত্তম বস্তু ও সর্বোচ্চ দান যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া। রমজানে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পাওয়ার চেষ্টা করা।

আজকের তৃতীয় তারাবিহতে ধারাবাহিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর বর্ণনা তেলাওয়াত করা হবে। সংক্ষেপে এসব বর্ণনার কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো-

সুরা আল-ইমরান
মদিনায় অবতীর্ণ ২০ রুকু ও ২০০ আয়াতবিশিষ্ট সুরা এটি। এ সুরার আয়াতগুলো প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের পর বিভিন্ন সময়ে নাজিল হয়। সুরাটিতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক দোয়া স্থান পেয়েছে। এসব দোয়া ও আলোচনাগুলো হলো-

- গোনাহ মুক্তির দোয়া

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِىٓ أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكٰفِرِينَ
অর্থ : ‘হে আমাদের রব! আমাদের অপরাধগুলো এবং আমাদের কাজ-কর্মে বাড়াবাড়িগুলোকে তুমি ক্ষমা করে দাও, আমাদের দৃঢ়পদ রেখ এবং কাফিরদলের উপর আমাদের সাহায্য কর।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৪৭)

- সুখ ও দুঃখে আল্লাহর ওপর ভরসা করতে বলা-
حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ
অর্থ : ‘আমাদের জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট এবং তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক!’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৭৩)

- আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া-
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيٰمًا وَقُعُودًا وَعَلٰى جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِى خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بٰطِلًا سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ - رَبَّنَآ إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُۥ ۖ وَمَا لِلظّٰلِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ
অর্থ : যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) ‌হে পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় তুমি যাকে দোযখে নিক্ষেপ করলে তাকে সবসময়ে অপমানিত করলে; আর জালেমদের জন্যে তো সাহায্যকারী নেই।' (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৯১-১৯২)

- ঈমানদার যেভাবে গোনাহ থেকে মুক্তি চাইবে-
رَّبَّنَآ إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِى لِلْإِيمٰنِ أَنْ ءَامِنُوا بِرَبِّكُمْ فَـَٔامَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّـَٔاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ
অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিশ্চিতরূপে শুনেছি একজন আহ্বানকারীকে ঈমানের প্রতি আহ্বান করতে যে, তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আন; তাই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! অতপর আমাদের সব গোনাহ মাফ কর এবং আমাদের সব দোষত্রুটি দুর করে দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও নেক লোকদের সাথে।' (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৯৩)

- পরকালের অপমান থেকে বাঁচার দোয়া-
رَبَّنَا وَءَاتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلٰى رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ

অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে দাও, যা তুমি ওয়াদা করেছ তোমার রসুলগণের মাধ্যমে এবং কিয়ামতের দিন আমাদিগকে তুমি অপমানিত করো না। নিশ্চয় তুমি ওয়াদা খেলাফ করো না। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৯৪)

> ৯২-২০০ আয়াতের আলোচনা

- দান-সাদকার ছাওয়াব প্রাপ্তি;
- হালাল ও হারামের ব্যাপারে তাওরাতের নীতির পাশাপাশি কুরআনের নীতির উল্লেখ;
- মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলা এবং পবিত্র কাবা শরীফের ইতিহাস ও মর্যাদা সম্পর্কিত বিষয়।
- মুসলমানের শরীরিক ও আর্থিক ইবাদত হজ ফরজ হওয়ার প্রসঙ্গ;
- নেতা নির্বাচন ও নেতৃত্বের গুণাবলীর আলোচনা;
- তাকওয়ার হক সম্পর্কিত বিষয় ও ইসলামের ঐক্যের গুরুত্ব;
- ইসলামের প্রথম সামরিক বিজয় বদর যুদ্ধের পটভূমি;
- ওহুদ যুদ্ধ ও ওহুদ যুদ্ধের পটভূমি এবং মুনাফিকদের বিশ্বাসঘাতকতা বিষয়টিও ওঠে এসেছে সুরার এ অংশে।

- অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সুদের চারিত্রিক ও অর্থনৈতিক ভয়াবহ অনিষ্টতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাও ওঠে আসবে আজকের তারাবিতে।

- গাযওয়ায়ে হামরাউল আসাদের ঘটনা, ওহুদ যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে গাযওয়ায়ে বদরে সোগরা এবং ইসলামের জন্য যুদ্ধে নিহতদের শহীদ এবং জীবিত হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। সর্বোপরি আসমান ও জমিন সৃষ্টির উদ্দেশ্য এবং ধৈর্য অবলম্বনের বিষয়টিও ওঠে এসেছে এ সুরায়।

> সুরা নিসা
এটি কুরআনুল কারিমের ৪র্থ সুরা। তৃতীয় হিজরির শেষ দিকে শুরু হয়ে পঞ্চম হিজরির প্রথম সময় পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মদিনায় নাজিল হয়েছে সুরাটি। ২৪ রুকুর এ সুরাটিতে রয়েছে ১৭৬ আয়াত। আজ সুরাটির ৮৭ আয়াত পর্যন্ত তেলাওয়াত হবে। এতে রাষ্ট্রীয় জুলুম অত্যাচার থেকে হেফাজত থাকার গুরুত্বপূর্ণ একটি আবেদন ওঠে এসেছে এভাবে-
- رَبَّنَآ أَخْرِجْنَا مِنْ هٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এ যালিম অধ্যূষিত জনপথ হতে মুক্তি দাও, তোমার পক্ষ হতে কাউকেও আমাদের বন্ধু বানিয়ে দাও এবং তোমার পক্ষ হতে কাউকেও আমাদের সাহায্যকারী করে দাও।’

পারিবারিক জীবনের শক্তবন্ধন দাম্পত্য জীবন এবং বিবাহ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়গুলো ওঠে এসেছে এ সুরায়। বিয়ে-শাদী সংক্রান্ত বিধানগুলো পড়া হবে আজ। সুরাটির ৮৭ আয়াত পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সূচি তুলে ধরা হলো

> আয়াত ০১-১৪
- ইয়াতিমদের বিবাহ করার হুকুম;
- পুরুষের একাধিক বিবাহ প্রসঙ্গ এবং
- এক মহিলার একাধিক স্বামী গ্রহণ করার বিধান।
- দাসিদের বিয়ে;
- ইয়াতিম মেয়েদের অধিকার সংরক্ষণ;
- নারীর অধিকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও বিধান;
- ইসলামের উত্তরাধিকার বণ্টনের বিধান ও মূলনীতি।

> আয়াত ১৫-২৩
- সুখী দাম্পত্য জীবন গটনে ব্যভিচার দমনের বিধান;
- সমকামিতার শাস্তির সুস্পষ্ট বর্ণনা;
- নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা;
- স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মূলভিত্তি;
- ইসলামে যাদেরকে বিয়ে করা হারাম এবং
- আইন প্রণয়নের অধিকার।

> আয়াত ২৪-৩৫
- যুদ্ধবন্দি নারীদের প্রসঙ্গ;
- পরিবারিক সমাজ ব্যবস্থার প্রথম বুনিয়াদ বিয়ের কিছু মূলনীতির পাশাপাশি জাহেলি সমাজের বিয়ে প্রসঙ্গ;
- ক্রীতদাসিদের বিয়ে;
- ইসলামে নারী-পুরুষের অবস্থান;
- ইসলামে নেককার স্ত্রীর গুণাবলী;
- ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় বিধান;

- মুসলিম সমাজের অর্থনৈতিক লেনদেন, বড় গোনাহ পরিহারে ছোট গোনাহ মাফের আশ্বাসও রয়েছে আজকের তারবিহতে পঠিত কুরআনের এ অংশে।

> আয়াত ৩৬-৪৩
মাদক গ্রহণের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রথমিক ও মাদক দ্রব্য হারাম হওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণার পাশাপাশি সমাজে অনাচার ও অনিয়ম নির্মূলে কুরআনের নীতির বিষয়টি ওঠে এসেছে।

> আয়াত ৪৪-৫৭
আহলে কিতাবের অনুসারীদের অজ্ঞতা ও জঘন্য চরিত্রের আলোচনার পাশাপাশি জিবত ও তাগুত প্রসঙ্গ এবং সত্য মিথ্যার সংঘাতের সুস্পষ্ট বিষয়াবলী পঠিত হবে আজ।

> আয়াত ৫৮-৭০
ইসলামে ইজতিহাদ ও কিয়াসের প্রমাণ; ন্যায় বিচারের মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামি বিধান বাস্তবায়নে রাষ্ট্র ক্ষমতার আবশ্যকতার গুরুত্বও ওঠে এসেছে আজকের তারাবিহতে।

> আয়াত ৭১-৮৭
সর্বোপরি মানুষের শ্রেণি বিন্যাস, সমরবিদ্যা, ইসলামে জিহাদের গুরুত্ব, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, মানবীয় বোধ শক্তির সীমাবদ্ধতাসহ পারস্পরিক সালাম বিনিময়ের গুরুত্ব এবং আল্লাহ-রাসুলের আনুগত্যশীলরা নবি-সিদ্দিকের সঙ্গী হওয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণাও পড়া হবে আজ।

আল্লাহর প্রেমে আত্মহারা মুমিন মুসলমান ঘরে ঘরে তারাবিহ আদায় করবে। তারাবিহ নামাজের আগে এ অংশের তাফসির, অধ্যয়ন কিংবা তেলাওয়াত করায় থাকবে অনেক বেশি ফজিলত। আর গুরুত্বপূর্ণ এ দোয়াগুলো তাতে শেখা হয়ে যাবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের যাবতীয় নেয়ামত লাভে তারাবিহ আদায় করার তাওফিক দান করুন। কুরআনের নূরে নিজেদের জীবনকে আলোকিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এএসএম

আরও পড়ুন