ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া ও আমল

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২১

ছোটদের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করা সুন্নাত। এতে রয়েছে অনেক উপকারিতা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেকে শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন। অনেককে শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু কেন তিনি শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া কিংবা দোয়া করার কথা বলেছেন? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনা কী?

শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া এবং তাদের জন্য দোয়া করা সুন্নাত। আবার বাবা-মা হারানো শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া অভাবমুক্ত থাকা এবং অন্তর নরম হওয়ার অন্যতম আমলও বটে। হাদিসের আলোকে তা প্রমাণিত।

সেই সৌভাগ্যবান সাহাবি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে হিশাম রাদিয়াল্লাহু আনহু। যার মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেছিলেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আব্দুল্লাহ ইবনে হিশাম যখন ছোট তখন তাঁর মা তাকে নিয়ে বিশ্বনবির দরবারে যান। তাকে বায়াত করার আবেদন জানান। ছোট হওয়ার কারণে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন।

আর এতে উম্মতের জন্য একটি সুন্নাত আমল প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকের জন্য তা আমলও সাব্যস্ত হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে হিশাম রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন। একবার তার মা যয়নব বিনতে হুমাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহা তাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে নিয়ে যান এবং বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনি একে বায়াত করে নিন। তিনি (রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন- সে তো ছোট। তখন তিনি তার মাথায় হাত বুলালেন এবং তার জন্য দোয়া করলেন।’ (বুখারি)

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী প্রমাণিত সত্য যে, ছোট ছোট বাচ্চাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণে এভাবে দোয়া করায় রয়েছে অনেক নেকি ও সাওয়াবের কাজ।

অন্তর নরম হওয়া ও অভাব মুক্ত হওয়ার আমল
মা-বাবা হারানো শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়াকে অন্তরের কঠোরতা ও অভাব দূর হওয়ার একটি কারণ হিসেবেও তুলে ধরা হয়েছে। হাদিসে আরও এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এক ব্যক্তি এসে অভিযোগ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার অন্তর শক্ত হয়ে যায়। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানতে চান-
‘তুমি কি চাও? তোমার অন্তর নরম হোক এবং অভাব দূর হোক!
তাহলে তুমি ইয়াতিমের প্রতি দয়া কর। তার মাথায় হাত বুলিয়ে দাও এবং তাকে তোমার খাবার থেকে খাওয়াও। তবে তোমার অন্তর নরম হবে এবং অভাব দূর হবে।’ (তাবারানি, তারগিব)

আলহামদুলিল্লাহ! উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়া এবং তাদের জন্য দোয়া মহান আল্লাহর এক অপূর্ব নেয়ামত। যাতে রয়েছে সাওয়াব ও কল্যাণ। কঠিন হৃদয়ের মানুষের অন্তর হয় নরম ও শীতল। আবার অভাবী ব্যক্তির অভাব দূর হয়ে যায়। অন্তরে তৈরি হয় কোমলতা, অনুগ্রহ, মায়া-মমতা ও ভালোবাসা।

মুমিন মুসলমানের উচিত, শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণ করা। নিজেদের অন্তরের কঠোরতা দূর করা। অভাব থেকে মুক্ত থাকা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল কার তাওফিক দান করুন। শিশু ও বাবা-মা হারানো ছোট বাচ্চাদের প্রতি দয়া ও ভালোবাসা দেখানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

আরও পড়ুন