ভালো কাজের উপদেশ দিলেই কি সাওয়াব হয়?
কল্যাণের দিকে আহ্বানকারীর প্রতিদান কী? ভালো উপদেশ দেয়া ব্যক্তির প্রাপ্যই বা কী? কাউকে ভালো কাজের দিকে ডাকলে কিংবা উপদেশ দিলে কি কোনো অতিরক্তি সাওয়াব হবে? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনাই বা কী?
‘হ্যাঁ’, কল্যাণকর যে কোনো কাজের দিকে ডাকলে কিংবা উপদেশ দিলেই মিলবে সাওয়াব বা উত্তম প্রতিদান। শুধু নামমাত্র প্রতিদানই নয়, বরং যে ব্যক্তি কারো আহ্বানে বা উপদেশে সাড়া দিয়ে ভালো কাজ করবে, তার সমপরিমাণ প্রতিদান বা সাওয়াব পাবে আহ্বানকারী। হাদিসের বর্ণনা থেকে তা সুস্পষ্ট।
এ কারণেই ইসলাম মানুষকে সত্যের দিকে আহ্বান করতে বলেছেন প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁর থেকে একটি আয়াত বা নিদর্শন পেলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কল্যাণের দিকে আহ্বানের মর্যাদা বর্ণনায় হাদিসে এসেছে-
- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ' কেউ হেদায়েতের (কল্যাণের) দিকে ডাকলে; যে কয়জন ব্যক্তির তার অনুসরণ করবে, তার ডাকে সাড়া দেবে; তাদের প্রত্যেকের সওয়াবের সমান অধিকারী সে (আহ্বানকারী) হবে। তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবের কোনো কমতি হবে না।
পক্ষান্তরে যদি কোনো ব্যক্তি কোনো (কাউকে) বিভ্রান্তির দিকে আহ্বান করে তবে যত মানুষ তার অনুসরণ করবে, তাদের সবার পাপের সমপরিমাণ পাপ সে ব্যক্তি লাভ করবে। তবে এতে অনুসরণকারীদের পাপেরও কোনো ঘাটতি হবে না।' (মুসলিম)
- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ভালো কথা বলাও সাদকাহ।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, রিয়াদুস সালেহিন)
মুমিন মুসলমানের উচিত, সব সময় নিজে যেমন ভালো কাজ করবে ঠিক অন্যকেও ভালো কাজ করার জন্য কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে। আর তাতে মিলবে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত ও প্রতিদান। তাছাড়া প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভালো কথা বলাকে সাদকাহ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সুতরাং উপদেশ দেয়া বা কল্যাণের দিকে আহ্বান করা বা হেদায়েতের কথা বলা ভালো কাজ তথা সাদকাহ। আর সাদকায় মিলবে সাওয়াব ও প্রতিদান।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় নিজেকে ভালো কাজ করার তাওফিক দান করুন। অন্যকে ভালো কাজের দিকে আহ্বান করার তাওফিক দিন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম