আগেই জামাআত শুরু হয়ে গেলে যা করবেন
নামাজের জামাআতে প্রথম থেকে শরিক হতে না পারলে মুসল্লিরা কী করবেন? জামাআতে অংশগ্রহণ সম্পর্কিত ইসলামের পরিভাষা ও দিকনির্দেশনাই বা কী?
নামাজের জামাআতে সম্পৃক্ত হওয়ার দিক থেকে মুসল্লিদের তিন ধরনের পরিচয় রয়েছে। জামাআতে উপস্থিত হওয়া সাপেক্ষে তাদের এ পরিচয় হয়। তা হচ্ছে- মুদরিক, লাহিক ও মাসবুক। আসুন এ তিন পরিভাষা ও করণীয় সম্পর্কে জেনে নিই-
> মুদরিক
যে মুসল্লি ইমামের সঙ্গে জামাআতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ নামাজ পেয়েছে, তাকে মুদরিক বলে।
> লাহিক
ইমামের সঙ্গে নামাজরত অবস্থায় যে মুক্তাদির অজু ছুটে যায়; তাকে লাহিক বলে।
লাহিক মুসল্লির করণীয়-
কোনোর কথা না বলে সরাসরি কাতার ভেদ করে অজু করতে চলে যাওয়া। অজু করে ফিরে এসে ইমামের সঙ্গে নামাজে যোগদান করা। ইমামের সালাম ফিরানোর পর সে উঠে দাঁড়িয়ে বাকি নামাজ যথারীতি আদায় করবে।
অজু করে ফিরে আসতে আসতে যদি ইমামের নামাজ শেষ হয়ে যায়, তবে একাকি অবশিষ্ট নামাজ আদায় করা। তবে শর্ত হচ্ছে এ সময় কোনো প্রকার কথা বলা যাবে না। কথা বললে পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
> মাসবুক
যে মুসল্লি ইমামের সঙ্গে নামাজের কিছু অংশ পেয়েছে, তাকে মাসবুক বলে। ইমামের সালাম ফিরানোর পর ছুটে যাওয়া নামাজ যথারীতি কিরাআতসহ আদায় করা এবং এতে ভুল হলে সাহু সিদজাও করা।
প্রথমে মাসবুক হওয়া কিরাআতওয়ালা রাকাআত আদায় করবে এবং পরে কিরাআতবিহীন রাকাআতে শুধু সুরা ফাতিহা পড়বে। তারপর শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ-দরূদ-(দোয়ায়ে মাছুরা) পড়ে সালাম ফিরাবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে মুদরিক মুসল্লি হওয়ার পাশাপাশি লাহিক ও মাসবুক নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম