জুমআর দিন গোসল ও সুগন্ধির ব্যবহার সম্পর্কে যা বলেছেন বিশ্বনবি
জুমআর দিন মুমিন মুসলমানের ইবাদত-বন্দেগি করার দিন। এ দিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও আমলের কথা বলেছেন বিশ্বনবি। এ দিন প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য গোসল করাকে আবশ্যক বলেছেন। আবার মেসওয়াক ও সুগন্ধি ব্যবহারের কথাও বলেছেন বিশ্বনিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-
- হজরত আমর ইবনু সুলাইম আনসারির বর্ণনায় আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জুমআর দিন প্রত্যেক বালিগের জন্য গোসল করা কর্তব্য। আর মেসওয়াক করবে এবং সুগন্ধি পাওয়া গেলে তা ব্যবহার করবে।
হজরত আমর ইবনু সুলাইম আনসারি বলেন, গোসল সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি- তা ওয়াজিব ৷ কিন্তু মেসওয়াক ও সুগন্ধি ওয়াজিব কিনা তা আল্লাহই ভাল জানেন। তবে হাদিসে এ রকমই আছে। (মুসলিম, মুসনাদে আহামদ, বুখারি)
- হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ‘আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুমআর দিন প্রত্যেক সাবালকের (প্রাপ্ত বয়স্ক) জন্য গোসল করা ওয়াজিব।’ (বুখারি)
এ দিন গোসল করে পরিচ্ছন্ন হয়ে সুগন্ধি মেখে মসজিদে নামাজ পড়তে আসার ফজিলতও অনেক বেশি। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমআর দিন জানাবাতের (অপবিত্রতার) গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং নামাজের জন্য (মসজিদে) আগমন করে; সে যেন একটি উট কুরবানি করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কুরবানি করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানি করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানি করল। আর পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানি করল। পরে ইমাম যখন খুতবা দেয়ার জন্য বের হন তখন মালাইকা (ফেরেশতাগণ) জিকির (ইমামের আলোচনা) শোনার জন্য উপস্থিত হয়ে থাকে।’ (বুখারি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জুমআর দিন আজানের আগে থেকেই জুমআর নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়া। আজানের সঙ্গে সঙ্গে সব কাজ থেকে বিরত হয়ে মসজিদে যাওয়া। হাদিসের উপর যথাযথ sআমল করা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব প্রাপ্ত বয়স্ক মুসল্লিকে জুমআর নামাজের জন্য গোসল করে সুগন্ধি ও উত্তম পোশাক করে মসিজদে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করে ফজিলত ও মর্যাদা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস