জুমআর নামাজ ২ জনে আদায় করা যাবে কি?
জুমআ মুসলমানের সপ্তাহিক বিশেষ ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। কিন্তু জুমআর পড়তে কেউ মসজিদে যেতে না পারলে ২ জনে মিলে কি জুমআ আদায় করতে পারবে? কিংবা জুমআ আদায়ের ক্ষেত্রে কমপক্ষে কত জন মুসল্লি আবশ্যক?
জুমআ জামাআতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এ কারণেই জুমআর আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ এসেছে কুরআনে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
‘হে মুমিনগণ! জুমআর দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দ্রুত মসজিদের দিকে ধাবিত হও। আর বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝতে পার।’ (সুরা জুমআ : আয়ত ৯)
জুমআ আদায়ের শর্ত
২ জন মুসল্লি মিলে জুমআ আদায় করতে পারবেন না। জুমআ আদায়ে ইমাম ছাড়া কমপক্ষে ৩ জন মুসল্লি হওয়া জরুরি। তিন জন মুসল্লির কম হলে জুমআ আদায় হবে না। অর্থাৎ ইমাম মুয়াজ্জিনসহ কমপক্ষে ৪ জন মিলে জুমআ আদায় করতে পারবে। এর কম হলে জুমআ হবে না।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনার কারণে যখন মসজিদে জুমআ আদায় সম্পর্কিত জটিলতা দেখা দেয়, তখন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের সম্বন্বয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত এক সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। মহামারির এ পরিস্থিতিতেও মুসল্লিদের সর্ব নিম্ন অংশগ্রহণের এ বিষয়গুলো ওঠে আসে।
গত ২৯ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আয়োজিত ধর্মমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বৈঠকে গৃহীত মসজিদে জামাআত ও জুমআ প্রসঙ্গে যে আলোচনা হয়, তাহলো- মসজিদে নামাজের আবাদ অব্যাহত রাখা ফরজে কেফায়া। মসজিদে জামাআত পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না। তবে ফরজে কেফায়া আদায়ের লক্ষ্যে যে কয়জন মানুষের প্রয়োজন তাদের নিয়ে জামাআত আদায় অব্যাহত রাখতে হবে।
‘পাঞ্জেগানা নামাজে ইমাম ছাড়া ২ জন আর জুমআয় ইমাম ছাড়া ৩ জন উপস্থিত হল ফরজে কেফায় আদায় হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে মসজিদে মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ পাঞ্জেগানায় ৩ জন এবং জুমআয় ৪ জন হলেই জামাআত আদায় হয়ে যাবে।’
সুতরাং কেউ যদি জুমআ পড়তে চায়, চাই মসজিদে হোক কিংবা মসজিদের বাইরে হোক; কম পক্ষে ৪ জন মিলে জুমআ আদায় করতে হবে।
এমএমএস/পিআর