মসজিদে হারামের শিক্ষক শায়খ মুহাম্মাদের ইন্তেকাল
মক্কার মসজিদে হারামের সম্মানিত শিক্ষক শায়খ মুহাম্মাদ বিন আলি বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মক্কার মসজিদে হারামে সব সময় দ্বীনি নসিহত চলতে থাকে। সারা বিশ্ব থেকে আগত মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ নসিহত পেশ করা হয়। যারা মসজিদে হারামে মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে নসিহত পেশ করেন, তাদের মধ্যে অন্যতম শায়খ মুহাম্মাদ বিন আলি ছিলেন অন্যতম একজন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি প্রচারবিমুখ ছিলেন। যখন ছবি তোলা এবং ভিডিও রেকর্ডিং করা দাওয়ার (দ্বীনের পথে আহ্বানের) একটা মাধ্যমে পরিণত হয়েছে, তখনও তিনি এগুলো পরিহার করে নীরবে-নিভৃতে জ্ঞান সাধনায় রত ছিলেন। তিনি দুনিয়াতে প্রসিদ্ধির পেছনে ছুটেননি।
আশশাবাকাতুল আরাবিয়াহ সূত্রে আরও জানা যায়, মসজিদে হারামের মুদাররিস শায়খ মুহাম্মাদ বিন আলি ছিলেন ইথিওপিয়ার বাসিন্দা। তিনি একাধারে মুহাদ্দিস, ফকিহ, নাহুবিদ, উসূলবিদসহ বহুমুখী জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। দুনিয়াবিমুখ এ আলেমে দ্বীন গভীর পাণ্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন। তিনি ইসলামি জীবনাদর্শের ওপর অনেক কিতাব রচনা করেছেন। লিখেছেন অনেক ব্যাখ্যা গ্রন্থ। তার মধ্যে অন্যতম হলো-
- তিনি ৫০ খণ্ডে ‘আল-বাহরুল মুহিত আছ-ছাজ্জাজ’ নামে (البحر المحيط الثجاج شرح صحيح مسلم ابن الحجاج) হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থ লিখেছেন।
- তিনি ‘যাখিরাতুল উক্ববা- (ذخيرة العقبى في شرح المجتبى)’ নামে ৪২ খণ্ডে হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ সুনানে নাসাঈয়ের ব্যাখ্যা গ্রন্থ লিখেছেন। যার প্রতিটি খণ্ডের পৃষ্ঠার সংখ্যা ৫০০ থেকে ৬৫০ পৃষ্ঠা।
- সর্বশেষ তিনি হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ সুনানে ইবনু মাজাহের ব্যাখ্যা গ্রন্থ লেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তা লেখা শেষ হয়েছিল কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তিনি এটি ‘মাশরিকুল আনওয়ার আল-ওয়াহহাজাহ’ শিরোনামে লিখছিলেন।
মসজিদে হারামের শিক্ষক, দ্বীনের দাঈ শায়খ মুহাম্মাদ বিন আলির এসব অবদানকে আল্লাহ তাআলা কবুল করুন। জান্নাতের সবচেয়ে উঁচু মাকাম দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর