প্রথম কয়েক ঘণ্টায় ওমরাহ পালনের কোটা শেষ!
প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে পবিত্র নগরী মক্কায় ওমরাহ পালন বন্ধ রয়েছে। ওমরাহ পালনে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘আই-টামারনা’ উদ্বোধন হওয়ার পর প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১৬ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে প্রথম ১০ দিনের ওমরাহ পালনের নিবন্ধনের কোটা পূর্ণ হয়ে গেছে। খবর সৌদি গেজেট।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘আই-টামারনা’র মাধ্যমে ওমরাহ পালনের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। শুরু হওয়ার প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ১০ দিনের ওমরাহ পালনের নির্ধারিত কোটা পূর্ণ হয়ে গেছে।
পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত ও নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ওমরাহ শুরু হবে। এতে অংশগ্রহণ করতে হলে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘আই-টামরনা’-এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
প্রথম ধাপে সৌদি অবস্থানকারী স্থানীয় ও প্রবাসীরা নির্ধারিত নিয়ম ও শর্ত পালন সাপেক্ষে ওমরাহ পালনের সুযোগ পাবে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালুর প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওমরাহ পালন করতেই সৌদিতে অবস্থানকারী স্থানীয় ও প্রবাসীদের ১৬ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।
সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে প্রথম ১০ দিনের জন্য ওমরাহ পালনের নিবন্ধনের কোটা ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়েগেছে। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিদিন ৬ হাজার লোক ওমরাহ পালন করতে পারবে। সে হিসেবে প্রথম ১০ দিনের জন্য ইতিমধ্যে ৬০ হাজার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েগেছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধীরে ধীরে পুনরায় ওমরাহ চালুর ঘোষণা দেয়। যা আগামী ৪ অক্টোবর থেকে সীমিত সংখ্য ব্যক্তির অংশগ্রহণে নির্ধারিত নিয়ম ও শর্ত সাপেক্ষে দুই পবিত্র মসজিদ জেয়ারত ও ওমরাহ শুরু হবে।
দুই পবিত্র মসজিদের জেয়ারত ও ওমরাহ পালনের শুরুতে প্রতিদিন ৬ হাজার ব্যক্তি সুযোগ পাবে। ২৪ ঘণ্টায় ১২টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এ ওমরাহ ও জেয়ারত সম্পন্ন করতে হবে। প্রতি গ্রুপে ৫০০ ব্যক্তি অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত জানায় কর্তৃপক্ষ।
ওমরাহ চলাকালীন সময়ে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফের পুরো আঙিনা প্রতিদিন ১০ বার জীবাণুমুক্তকরণ কার্যক্রম চালাবে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ।
ওমরাহ পালনে মসজিদে হারাম তথা কাবা চত্বরে যাওয়ার আগে প্রত্যেক ওমরাহ পালনকারীকে জীবাণুমুক্ত করণ করা হবে। প্রত্যেকেই বোতলজাত জমজমের পানিও সরবরাহ করা হবে।
তবে ওমরাহ পালনকারীরা কাবা চত্বরে তাওয়াফ সম্পন্ন করলেও হাজারে আসওয়াদ স্পর্শ বা চুম্বনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কাবা শরিফের বাইরে অস্থায়ী প্রাচীরের বাইরে থেকে তাওয়াফ সম্পন্ন করতে হবে।
ওমরাহ পালনকারীদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা চালু থাকবে। কোনো ওমরাহ পালনকারীর মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে তাদের জন্য বিশেষ আইসোলেশন ব্যবস্থাও প্রস্তুত থাকবে।
ইতিমধ্যে দুই পবিত্র মসজিদের প্রধান তত্বাবধায়ক ও খতিব শায়খ ড. আব্দুর রহমান আস-সুদাইসি ওমরাহ সেবা নিশ্চিত ও নিরাপদ করতে মাঠ পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এমএমএস/পিআর