হজের জন্য উঁচু করা হলো কাবা শরিফের গিলাফ
প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ১৯ জুলাই আইসোলেশনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে হজের কার্যক্রম। সীমিত আকারে হজের আয়োজনে হাজিদের জন্য কাবা শরিফের নিচের অংশে কিসওয়া বা গিলাফ উঁচু করে উপরের দিকে উঠিয়ে রাখা হয়েছে। খবর আল-আরাবিয়া ডটনেট।
প্রতি বছর হজের দিন পবিত্র কাবা শরিফের কিসওয়া বা গিলাফ পরিবর্তন করে নতুন গিলাফ পরানো হতো। এবার হজের প্রস্তুতির শুরুতেই কাবা শরিফের নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতার নিশ্চিত করতে কিসওয়া বা গিলাফের নিচের অংশ উঠিয়ে ফেলা হয়েছে।
তাওয়াফের সময় হাজিরা কিসওয়া বা গিলাফ স্পর্শ করে। অনেক সময় হাজিদের অতিরিক্ত স্পর্শ কাবা শরিফের গিলাফ ছিড়ে যায়। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে কাবা শরিফের গিলাফ নিচের দিক থেকে উপরে উঠিয়ে রাখা হয়েছে।
যদিও এ বছর হজের সময় কাবা শরিফের চারদিকে নিরাপত্তা ব্যারিকেড থাকবে। তারপরও অতিরিক্ত নিরাপত্তা স্বরূপ হজে অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও কাবা শরিফের নিরাপত্তায় এ ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ ও মসজিদে নববির মহাপরিচালক, প্রধান ইমাম ও খতিব ড. আব্দুর রহমান সুদাইসি এ বিষয়ে বলেন, প্রতি বছরের মত এ বছর হজ মৌসুমে কাবার গিলাফ উপরে ওঠানোর প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। বুধবার খুব ভোরে প্রায় ৫০ জন দক্ষ কর্মী এ উত্তোলনের কাজে অংশ নেয়।
উল্লেখ্য মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবার কড়াকড়ি রয়েছে হজ পালনে। হজের সময় কাবা শরিফ স্পর্শ না করেই হজ আদায় করতে হবে হাজেদের। নামাজের সময় তো বটেই, কাবা শরিফ তাওয়াফের সময়ও দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।
১৯ জুলাই হজে অংশগ্রহণকারীদের ৭ দিনের আইসোলেশন শুরু হয়েছে। আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত হজের কার্যক্রম চলবে। এ সময়ের মধ্যে হজের রোকন তথা মিনা, মুজদালিফা ও আরাফায় বিনা অনুমতিতে প্রবেশাধিকারে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্য নিরাপত্তার মাধ্যমেই এবার হাজিদের হজের কার্যক্রম চালাতে হবে।
এমএমএস/জেআইএম