যে দোয়া ও আমলে চিন্তামুক্ত থাকবে মুমিন
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করেন। মানুষ সামান্য বিপদ দেখলেই পেরেশান হয়ে যায়। এমনকি বিপদের তুলনায় উৎকণ্ঠা ও পেরেশানিতে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসব মুহূর্তে কী করণীয় তা-ও ভুলে যায়। অথচ বিপেদ দিশেহারা বা জ্ঞানহারা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
কেননা মুমিন মুসলমানের সব বিপদ-আপদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো মহান আল্লাহর অফুরন্ত রহমত। তার অনুগ্রহেই মানুষ সব বিপদ থেকে মুক্তি পেয়ে থাকে। দুনিয়ার সব পেরেশানি কিংবা উৎকণ্ঠায় দিশেহারা না হয়ে মহান আল্লাহর উপর ভরসা করার বিকল্প নেই।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে যে কোনো ধরণের চিন্তা, উৎকণ্ঠা কিংবা পেরেশানি থেকে বেঁচে থাকতে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনার ছোট্ট দোয়ার নিয়মিত আমল করার কথা বলেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি (পেরেশানি ও উৎকণ্ঠায়) এ দোয়াটি সকাল-সন্ধ্যায় সাত বার পড়বে-
حَسْبِيَ اللَّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কাল্তু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।
অর্থ : আল্লাহ তাআলাই আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তারই ওপর আমি ভরসা করি। তিনিই মহা আরশের অধিপাতি।'
ওই ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও পরকালের সব পেরেশানি থেকে হেফাজত করবেন।' (আবু দাউদ)
এটি ছোট্ট একটি সহজ দোয়া। তবে সকাল ও সন্ধ্যায় ৭ বার নিয়মিত এ আমলটি মানুষকে সব চিন্তা থেকে মুক্তি দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তা-ও আবার শুধু দুনিয়াতেই নয় বরং পরকালের সব পেরেশানি-চিন্তা থেকেও মুক্ত থাকবে মুমিন।
এ দোয়াটি আর কিছুই নয়, মূলত এটি হলো- আল্লাহ তাআলাকে সর্বাবস্থায় নিজের জন্য যথেষ্ট মনে করা। যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য যথেষ্ট মনে করে, তার জন্য দুনিয়া যেমন কোনো পেরেশানি বা উৎকণ্ঠা থাকবে না। তেমনি পরকালেও থাকবে কোনো বিপদ ও মুসিবত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিপদ-আপদ, মহামারি-দুর্যোগসহ সব অবস্থায় তার উপর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রাখার তাওফিক দান করুন। নিজের জন্য আল্লাহকেই আরও বেশি যথেষ্ট মনে করার তাওফিক দান করুন। ছোট্ট এ দোয়ার আমলটি বেশি বেশি করার মাধ্যমে নিজের সাহস ও শক্তিকে বাড়ানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর