খলিফা ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহ. কবর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত
ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় ওমর হিসেবে পরিচিত খলিফা ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাহিমাহুল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা বিনতে আবদুল মালেকের সমাধি সৌধ আসাদবাহিনীর হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসলামের জন্য অনন্য কৃতিত্বের দাবিদার এ মহান খলিফার কবরে আগুন জালিয়ে চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে তারা। খবর মিডলইস্টমনিটর।
২৮ মে বৃহস্পতিবার সিরিয়ার ক্ষমতাশীন বাশার আল-আসাদ বাহিনী ইসলামের প্রথম মুজাদ্দিদ হজরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ রহমাতুল্লাহি আলাইহির কবরে আক্রমণ চালিয়ে ধ্বংস্তুপে পরিণত করে এবং সমাধি সৌধি আগুন ধরিয়ে দেয়। সে সঙ্গে তার স্ত্রী ফাতেমা বিনতে আব্দুল মালেকের সমাধি সৌধও ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্ত হয়।
পত্রিকাটিতে আরও বলা হয়, ২৭ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, সিরিয়ার ইদলিবে অবস্থতি খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজ রহমাতুল্লাহি আলাইহির মাজার বাশার বাহিনী ধ্বংস করে দিচ্ছে। সমাধি সৌধ অবমাননা করছে।
ريف المعرة الدير الشرقي نبش قبر الخليفة عمر بن عبد العزيز من قبل زنات العصر ومرتزقة الروس والنظام #سوريا #ادلب pic.twitter.com/BMFICakeDU
— المعتصم بالله الشحود (@almo3tasem91) May 26, 2020
এ সমাধি সৌধে আসাদ সরকারের এ অবমাননা এবারই প্রথম নয়, এর আগে গত ফেব্রয়ারিতেও তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও জানা যায়। সে সময় তারা এ শহরটি দখল করে এবং মাজারে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
প্রসঙ্গত, ইসলামের প্রধান চার খলিফার শাসনামলের পর খলিফা ওমর ইবনে আব্দুল আজিজের শাসনামলকে আদর্শ শাসনামল মনে করা হয়। ন্যায়-ইনসাফ, ইসলামি অর্থনীতির মজবুত ভিত্তি স্থাপনের কারণে তাকে দ্বিতীয় ওমর হেসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
উল্লেখ্য খলিফা ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ রাহিমাহুল্লাহ প্রথমত বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় ওমর হিসেবে পরিচিত। দ্বিতিয়ত তিনি ইসলামি অর্থনীতিকে সুদৃঢ় ও সমৃদ্ধশালী করার জন্য ব্যাপক পরিচিত। তাকে হত্যার করার বিনিময়ে পাওয়া টাকাও তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করেছিলেন।
যে কারণে তাঁর আমলেই জাকাত গ্রহণ করার মতো কোনো লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল। তিনিই ইসলামি অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করেছিলেন। একটি ঘটনাই তার প্রমাণ। তাকে বিষ প্রয়োগে মারার জন্য চুক্তির টাকাও তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তাঁর মা ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু’র পৌত্রী। তিনি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের ৫০ বছর পর ৬১ হিজরিতে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর রাজত্বের সময়কালে অসংখ্য সাহাবা ও তাবেঈ জীবিত ছিল।
এমএমএস/এমএস