আজানের সুমধুর ধ্বনি শুনতে অমুসলিমদের ভিড়!
‘‘কে ঐ শোনালো মোরে আজানের ধ্বনি
মর্মে মর্মে সুর, বাজিলো কি সুমধুর
আকুল হইলো প্রাণ, নাচিলো ধমনী’’
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম মহাকবি কায়কোবাদ ঠিকই বলেছেন। শত বছর পর তা আবারও প্রমাণিত হলো ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডমের নিউ ওয়েস্ট শহরের নীল মসজিদে। কবির ভাষায় সেই আজানের মধুর ধ্বনি শুনতে ব্লু মস্ক বা নীল মসজিদে ভিড় জমিয়েছেন অমুসলিমরা।
দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ আওয়াজে আজান দেয়া বন্ধ ছিল সেখানে। মসজিদ কমিটি গত ৮ নভেম্বর শুক্রবার উচ্চ আওয়াজে আজান দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী একটি গ্রুপ বিষয়টি জানতে পেরে মাইকে উচ্চ আওয়াজে আজান বন্ধ করে দেয়।
উচ্চ আওয়াজে আজান বন্ধ করে দেয়া হলে স্থানীয় মুসলমানরা মুখেই আজান দিয়ে যাচ্ছে। আর এ ব্যাপারে স্থানীয় মুসলিমরা প্রশাসনকে অবহিত করে।
ব্লু মস্ক বা নীল মসজিদের দায়িত্বশীলরা স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার মাইকে উচ্চ আওয়াজে জুমআ নামাজের জন্য আজান দেয়। ব্লু মস্ক বা নীল মসজিদের মুয়াজ্জিনের কণ্ঠের সেই সুমধুর আজান শুনতেই অমুসলিমদের ভিড় জমে যায়।
নামাজের জন্য মুয়াজ্জিনের আহ্বান কেমন লাগে তা শুনতে এ দিন মসজিদের কাছে জড়ো হন অনেক অমুসলিম। তাদের অনেকেই সুমধুর আজানের এ ধ্বনি মোবাইলে রেকর্ড করেন।
আজান কেমন লাগল? এমন প্রশ্নে তাদের অনেকেই জানান, ‘এক্সিলেন্ট! অসাধারণ! আজানের এ সুমধুর ধ্বনি সত্যিই এক অনন্য অনুভূতি। এ আবেগময় মুহূর্ত সারাজীবন মনে থাকার মতো। মাঝে মাঝে এ সুমধুর আজানের ধ্বনি মোবাইল রেকর্ড থেকে শুনবো।’
উল্লেখ্য যে, উইরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসেই রয়েছে প্রায় ৫০০ মসজিদ। এর বেশির ভাগ মসজিদেই মাইক ছাড়া আজান হয়। দেশটির সরকার ১৯৮০ সাল থেকে ধর্মীয় স্বাধীনতা পালনের অধিকার দেয়। সে অধিকারেই মুসলিমরা স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে মাইকে আজান দেয়া শুরু করে।
এমএমএস/পিআর