‘বাহরুল উলুম’ খ্যাত মুহাদ্দিস গোলাম নবি কাশ্মীরির ইন্তেকাল ও দাফন
শায়খুল হাদিস, বিশিষ্ট লেখক মুফতি গোলাম নবি কাশ্মীরি গত ৭ নভেম্বর দিল্লির ডিওএন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ দ্বীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম (ওয়াকফ) দেওবন্দের সিনিয়র মুহাদ্দিস ছিলেন। জামিয়া জিয়াউল উলুম পুঞ্জ-এর শায়খুল হাদিস হিসেবে ইলমে হাদিসের দরসও দিতেন তিনি। তিনি অনেক দারসি অনেক কিতাবের শরাহ লিখেছেন।
এ খ্যাতনামা মুহাদ্দিস ও লেখকের জানাযা বৃহস্পতিবার রাতে ইশা নামাজের পর দারুল উলুম দেওবন্দের এহাতায়ে মুলসারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে দেওবন্দের মাকবারায়ে কাসেমিতে তাকে দাফন করা হয়।
মুহাদ্দিস গোলাম নবি কাশ্মীরি দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে গেলে তিনি দেওবন্দ থেকে নিজ এলাকায় চলে যান। সেখানেও তিনি ইলমে হাদিসের খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।
গত ২৭ অক্টোবর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে দিল্লির ডিওিএন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মুহাদ্দিস গোলাম নবি কাশ্মীরি বহু গুণে গুণান্বিত ও আরবিতে অসাধারণ দক্ষতার অধিকারী ছিলেন। লেখা-লেখি থেকে শুরু করে ইলমে হাদিসের দারস ও বক্তৃতায় তার জুড়ি মেলা ভার। তিনি আরবি সাহিত্যের প্রসিদ্ধ কিতাব ‘দিওয়ান-ই-মুতানাব্বি’, তাক্বরিরে দিল পজির’ লিখেছেন।
দারুল উলুম দেওবন্দ ও জামিয়া জিয়াউল উলুম পঞ্জু থেকে প্রকাশিত মাসিক ‘জিকর ও নজর’-এর আমৃত্যু প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বহু ভাষায় চমৎকার দক্ষতা তাকে পাঠক সমাজে সমাদৃত করে তুলেছিল।
বক্তৃতা, ভাষাগত দক্ষতা ও লেখনির জন্য তিনি ছাত্র-শিক্ষক ও সাধারন শ্রোতা ও পাঠকদের কাছে ছিলেন সমান জনপ্রিয়। পাশাপাশি ছিলেন তিনি সফল শিক্ষক। বক্তৃতা, লেখনি ও দক্ষতার কারণে তার ছাত্ররা তাকে ‘বাহরুল উলুম’ তথা (জ্ঞানের সমুদ্র) উপাধিতে ভূষিত করেন।
ইলমে হাদিসের মহান খাদেম মুহাদ্দিস গোলাম নবি কাশ্মীরিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস