অন্যায়ের মোকাবেলায় যেভাবে প্রতিরোধ করতে বলেছেন বিশ্বনবি
প্রতিদিন সমাজে অনেক অন্যায় ও অপরাধের ঘটনা ঘটে থাকে। অপরাধ ও অন্যায়ের মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে নসিহত পেশ করেছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
কোনো মুসলিমের চোখের সামনে যদি অন্যায়ভাবে কেউ কারো সম্পদ বা সম্মান হরণের চেষ্টা করে তবে তার করণীয় হলো প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে বর্ণনা করেন-
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেছেন-
‘তোমাদের কেউ কোনো অন্যায় সংঘটিত হতে দেখলে সে যেন তা নিজ হাতে প্রতিরোধ করে। (নিজ হাতে প্রতিরোধ করতে) সম্ভব না হলে যেন মুখে প্রতিবাদ করে। যদি তাও সম্ভব না হয় তবে যেন অন্তত মন থেকে ঘৃণা করে। এটা দুর্বলতম ঈমানের আলামত।’ (মুসলিম)
উল্লেখ্য যে, ‘অন্তরে ঘৃণা করা’কে ঈমানের দুর্বলতম আলামত বলা হয়েছে। আসলে অন্তরে ঘৃণা করা দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদের মূল মর্মার্থ শুধু ঘৃণার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং নিরবে নিরবে অন্যায়-অপরাধ বন্ধে কাজ করে যাওয়া। নিরবে কাজ করে যাওয়ার প্রচেষ্টায় যেন অন্যায় অপরাধ বন্ধ হয়।
শুধু তাই নয়, কোনো মুমিন মুসলমানের সামনে কোনো অন্যায়-অপরাধ ঘটে গেলে যদি সে ঘটনা দেখে কারো মনে হাসির উদ্রেক হয়, সেটিও অন্যায়কে সমর্থন করার অর্থে পরিগণিত হবে। তাই অন্যায়ের সঙ্গে কোনোভাবেই আপোষ করা যাবে না।
কোনো মুসলিমের মান-সম্মানের ওপর আঘাত আসে এমন যে কোনো কাজই ইসলামে হারাম। তাই এসব কর্মমাণ্ডেরও প্রতিরোধ করা আবশ্যক। কেননা হাদিসে এসেছে-
‘তোমাদের সম্মান নষ্ট করা হারাম।’ (বুখারি)
বিশ্বনবির হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী কারো প্রতি অন্যায় আচরণ হতে দেখলে তার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা ঈমানের অপরিহার্য দাবি। সে দাবি পূরণে সম্ভব হলে হাতে, মুখে এবং নিরবে নিরবে সংগ্রাম অব্যাহত রাখা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব অন্যায়-অপরাধে হাদিসের নির্দেশনা মেনে চলার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া পরাকলের কল্যাণে পরস্পরকে সহযোগিতা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর