জুমআর দিনের যেসব কাজ সপ্তাহের গোনাহের কাফ্ফারা
মুসলমানদের ইবাদতের জন্য নির্ধারিত দিন ইয়াওমুল জুমআ তথা শুক্রবার। এ দিন মুমিন মুসলমানের রয়েছে অনেক করণীয় কাজ। যারা এ দিনের করণীয়গুলো যথাযথ আদায় করবে তাদের জন্য রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা।
বিশেষ করে এ দিনের সহজ কিছু কাজের বর্ণনা দিয়েছেন বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যা পালন করলে মুমিন মুসলমানের এক সপ্তাহের গোনাহের কাফ্ফারা হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে পরবর্তী ১০ দিনের গোনাহ থেকে হেফাজত করবেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু সাঈদ খুদরি ও হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে, সুগন্ধি থাকলে ব্যবহার করবে এবং জুমআর নামাজ আদায়ে মসজিদের দিকে যাবে, (মসজিদে) লোকদের ঘাড় টপকাবে না (অথ্যাৎ যেখানে খালি জায়গা পাবে সেখানেই বসে যাবে) আর মহান আল্লাহর নির্ধারিত নামাজ আদায় করে ইমামের খুতবা থেকে শুরু করে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত নিরবতা পালন করবে। এটা তার জন্য এ জুমআ ও পরবর্তী জুমআর মধ্যবর্তী যাবতীয় গোনাহের কাফ্ফারা হয়ে যাবে।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আরও ৩ দিনের গোনাহেরও কাফ্ফারা হবে। কেননা নেক কাজের সাওয়াব ১০ গুণ হয়।’ (আবু দাউদ, ইবনে খুযায়মা, মুসনাদে আহমদ, মুসতাদরেকে হাকেম)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত-
> জুমআর দিন গোসল করা।
> উত্তম পোশাক পরা।
> সুগন্ধি ব্যবহার করা।
> জুমাআর নামাজের নিয়তে মসজিদের দিকে যাওয়া।
> মসজিদে গিয়ে কাউকে না টপকে যেখানে জায়গা পাবে সেখানেই বসে যাওয়া।
> ইমামের খুতবা থেকে শুরু করে নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরবতা পালন করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত কাজগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। এক জুমআ থেকে পরবর্তী জুমআসহ ন্যূনতম ১০ দিনের গোনাহ থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস