ভদ্রতা সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?
আদব বা শিষ্টাচার হলো এমন এক পরিভাষা, মানুষ যাকে ভদ্রতা হিসেবে জানে। আদব বা ভদ্রতাকে ইসলাম অনেক গুরুত্ব ও মর্যাদা দিয়েছে। হাদিসের পরিভাষায় ও ইসলামিক স্কলারদের বক্তব্যে তা সুস্পষ্ট।
ইসলামের সারবস্তু হলো আদব বা শিষ্টাচার। কেননা প্রকৃত মুসলিম তো সেই ব্যক্তি, যিনি আল্লাহর সঙ্গে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিনম্র ও ভদ্র আচরণ করে চলে।
আদর্শ সমাজ গঠনে এ আদব-কায়দা বা ভদ্রতার প্রয়োজন অত্যধিক। মানুষের সঙ্গে মানুষের ভদ্রতা, শিষ্টাচার, ভালো ব্যবহার, ভাব বিনিময়, সালাম আদান-প্রদান, আনন্দ-বেদনা প্রকাশসহ উত্তম চরিত্র সম্পর্কে রয়েছে অনেক উপদেশ। তাহলো-
> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই উত্তম চরিত্র, ভালো ব্যবহার ও পরিমিত ব্যয় বা মধ্যপন্থা অবলম্বন করা নবুয়তের ২৫ ভাগের ১ ভাগ সমতুল্য।’ (আবু দাউদ)
> হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘তুমি আদব অন্বেষণ কর। কারণ, আদব হলো বুদ্ধির পরিপূরক, ব্যক্তিত্বের দলিল, নিঃসঙ্গতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, প্রবাস জীবনের সঙ্গী এবং অভাবের সময়ে সম্পদ।’
> হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘তোমরা আগে সুসভ্য হও, তারপর জ্ঞান অর্জন কর।’
> দার্শনিক ও ইসলামিক স্কলারদের মতে, ‘আকল (বুদ্ধি) ছাড়া আদব হয় না, আবার আদব ছাড়া আকলও হয় না।’ অর্থাৎ একটি অপরটি পরিপূরক।
তাইতো এক ব্যক্তি তার সন্তানকে উপদেশ দিয়ে বলেছেন-
‘তুমি তোমার আমলকে মনে করবে লবণ আর তোমার আদবকে মনে করবে ময়দা।’ অর্থাৎ যেভাবে লবণ ও ময়দার স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রিত মিশ্রণে সঠিক ও উত্তম খাবার তৈরি হয়।
সুতরাং প্রত্যেকের উচিত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আদব রক্ষা করে চলা। ভদ্রতা বজায় রেখে বিনম্র জীবন যাপন করা। আর তাতেই প্রতিষ্ঠা পাবে সুন্দর আদর্শ সমাজ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আদব রক্ষা করে চলার তাওফিক দান করুন। ভদ্রতা ও নম্রতার আলোকে জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম