থমথমে কাশ্মীরে ‘গণহত্যায়’ অভিনেতা অনুপম খেরের সমর্থন!
ভারতের প্রবীণ অভিনেতা অনুপম খের। এক টুইট বার্তায় কাশ্মীরের অগ্নিঝরা উত্তেজনায় ঘি ঢেলে দিয়েছেন। এ কেমন মন্তব্য করলেন তিনি। যা কাশ্মীর পরিস্থিতিকে আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাবে। কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও মুসলিমদের মর্যাদার ৩৭০ অনুচ্ছেদটি ভারত সরকার কর্তৃক বাতিলের পর তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘কাশ্মীর সমস্যার সমাধান শুরু হয়েছে।’ তাহলে কি গণহত্যা আর মর্যাদা হননই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান?
পাকিস্তান-ভারত সীমান্তবর্তী অঞ্চল কাশ্মীর। সেখানে চলছে চরম উত্তেজনা। ইতিমধ্যে ভারত সরকার ২৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে কাশ্মীরে। গ্রেফতার করা হয়েছে কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীকে।
কাশ্মীরে বসবাসকারী মুসলমানের দেয়া বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ অনুচ্ছেদটিও ইতিমধ্যে বাতিল করেছে ভারত সরকার। গত কয়েকদিনে হত্যা করা হয়েছে অনেক কাশ্মীরি তরুণকে। এ পরিস্থিতি প্রবীণ ভারতীয় অভিনেতা অনুপম খের-এর ‘মুসলিম গণহত্যা’র সমর্থনের এ মন্তব্য বিশ্ববিবেককে হতবাক করে দিয়েছে।
গত শনিবার এক টুইট বার্তায় জনপ্রিয় হুরিয়াত নেতা সৈয়দ আলী গিলানি বিশ্ব মুসলিমদের কাছে এক সাহায্যের আবেদন জানান। তার আবেদনে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাণ বাঁচান’ ও ‘বৃহত্তম গণহত্যা’ থেকে আমাদের মুক্তি দিন।
সৈয়দ গিলানি টুইট বার্তায় সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ‘গণহত্যায় যদি আমরা মরে যাই তবে তোমরা দয়াময় মহান আল্লাহর কাছে কি জবাব দেবে? অথচ মানবতার ইতিহাসে ভারত সর্ববৃহৎ গণহত্যা শুরু করতে যাচ্ছে। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের রক্ষা কর।’
তার এ টুইটবার্তা ভাইরাল হওয়ার পরপরই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তার টুইটার অ্যাকাউন্টটি স্থগিত করে দেয়।
ভূস্বর্গ কাশ্মীরের পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। কাশ্মীরি যুবকদের হত্যা করে যাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কামানের গুলিতে কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণে ভূখণ্ডটির বিশেষ মর্যাদার ৩৭০ অনুচ্ছেদটিও বাতিল করা হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী ও সরকারের গণহত্যা ও সংবিধানের অনুচ্ছেদ বাতিলের বিষয়টি বেশ উপভোগ করছেন ভারতের এ প্রবীণ অভিনেতা। তিনি তার টুইট বার্তায় সরকারের প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিত দেন।
Kashmir Solution has begun
— Anupam Kher (@AnupamPKher) August 4, 2019
এ অভিনেতা তার টুইটবার্তায় লিখেছেন, ‘কাশ্মীর সমস্যার সমাধান শুরু হয়েছে।’ তার এ বক্তব্যই প্রমাণ করে যে, মুসলিম গণহত্যাই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান। তার এ টুইটে পক্ষে-বিপক্ষে পড়েছে অনেক তির্যক মন্তব্য।
সচেতন বিশ্ববিবেকের কাছে প্রশ্ন : আসলেই কি মুসলিম গণহত্যা-ই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান। আর বিশ্ব মুসলিম ও আল্লাহর কাছে সৈয়দ গিলানির সাহায্যের আবেদনও কি অমূলক!
এমএমএস/পিআর