ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

দেওবন্দ মাদরাসায় পুলিশি অভিযান ও লাইব্রেরি নির্মাণ নিষিদ্ধ

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:৪২ এএম, ০৪ আগস্ট ২০১৯

দারুল উলুম দেওবন্দ এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি অনুমতি না নিয়ে হেলিপোর্ট নির্মাণের অজুহাতে লাইব্রেরি ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া পর্যন্ত হেলিপোর্টের আদলে তৈরি লাইব্রেরির নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে। খবর বাসিরাত অনলাইন।

পুলিশের তল্লাসির সময় স্থানীয় জেলা পুলিশ কর্মকর্তা অলোক পান্ডে, এসএসপি দীনেশ কুমার ও পুলিশ প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকারীদল দারুল উলুম দেওবন্দের সীমানায় নির্মাণাধীন শাইখুল হিন্দ লাইব্রেরির উপরে হেলিপোর্ট নির্মাণের বিষয়ে অনুসন্ধান করেন।

ডিএম অলোক পান্ডে জানায়, আমরা তদন্ত করেছি। দারুল উলুম দেওবন্দের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে গ্রন্থাগারসহ হেলিপোর্ট নির্মাণের কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। সুতরাং এসডিএম সহ পিডব্লিউডিকে এর প্রযুক্তিগত সক্ষমতাসহ ইত্যাদি যাচাইয়ের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

দারুল উলুম দেওবন্দের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ হয়েছে যে, মাদ্রাসার নবনির্মিত লাইব্রেরির ছাদে বিশাল হেলিপোর্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এ অভিযোগের তদন্ত করতেই স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ দারুল উলুম দেওবন্দে উপস্থিত হয়।

Deobond-1

জে আই দেওবন্দের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন জানতে পারে যে, দারুল উলুম দেওবন্দের সীমানায় একটি বড় লাইব্রেরি ভবন নির্মিত হচ্ছে। আর এ ভবনের ওপরে হেলিকপ্টার অবতরনের জন্য হেলিপোর্ট নির্মিত হচ্ছে। এ খবরে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ ডিএম অলোক কুমার পান্ডে দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী কে এস ডি এম দেওবন্দের মাধ্যমে গত ২৬ শে জুন ২০১৯ ভবন নির্মানের অনুমতিপত্র, এনওস এবং হেলিপোর্ট নির্মান সম্পর্কিত যাততীয় তথ্য এক সপ্তাহের মধ্যে দেয়ার জন্য নোটিশ পাঠায়।

দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী গত ৪ জুলাই ২০১৯ লিখিতভাবে শুধুমাত্র এতটুকু জবাব দিয়েছে যে, লাইব্রেরি ভবনের উপরে কোনো হেলিপোর্ট নির্মান করা হচ্ছে না।

মুহতামিমের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত চিঠিতে সমস্ত প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় এবং নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে গত ২০শে জুলাই ২০১৯ দ্বিতীয়বার মুহতামিম বরাবর নোটিশ জারি করে নির্মাণাধীন লাইব্রেরি ভবনের যাবতীয় তথ্যাদি চাওয়া হয়েছে।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া না গেলে আর বি ও আইন ১৯৫৮ অনুযায়ী দারুল উলুম দেওবন্দের সীমানায় চলমান নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। তারই ধারবাহিকতায় স্থানীয় প্রশাসন দারুল উলুম দেওবন্দে তল্লাশি চলায় এবং লাইব্রেরির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

এমএমএস/পিআর

আরও পড়ুন