যেসব হাজিদের হজ-ওমরাহকে ‘জিহাদ’ বলেছেন বিশ্বনবি

হজ-ওমরাহ পালনকারীরা আল্লাহ তাআলার মেহমান। হাদিসে পাকে আল্লাহ তাআলা ৩ শ্রেণির ব্যক্তিকে তার মেহমানের মর্যাদা দিয়ে থাকেন। বিশ্বনবি বলেছেন, ‘আল্লাহর মেহমান হলো ৩টি দল- আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধকারী, হজ পালনকারী এবং ওমরা পালনকারী।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা ৪ শ্রেণির লোককে তাঁর রাস্তায় জিহাদের মর্যাদা ও সাওয়াব দিয়ে তাঁর একান্ত মেহমান হিসেবে কবুল করে নেন। যারা বয়সে ছোট এবং বড় আবার দুর্বল এবং নারী। হাদিসে পাকে এসেছে-
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
>> হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! নারীদের ওপর জিহাদ আছে কি?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘হ্যাঁ’, আছে। তবে সেখানে যুদ্ধ নেই। সেটি হলো হজ ও ওমরাহ।’ (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
>> অন্য হাদিসে বিশ্বনবি আরো বর্ণনা করেন, ‘বড়, ছোট, দুর্বল এবং নারী সবার জন্য জিহাদ হলো- ‘হজ ও ওমরাহ।’ (নাসাঈ)
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
>> অন্য হাদিসে মুমিনের শ্রেষ্ঠ আমলের ঘোষণা দিয়ে বিশ্বনবি বলেন, ‘শ্রেষ্ঠ আমল হলো-
- আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর ঈমান আনা। অতঃপর
- শ্রেষ্ঠ হলো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। অতঃপর
- শ্রেষ্ঠ হলো কবুল হজ।’ (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)
মুসলিম উম্মাহর উচিত হাদিসের আলোকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ আমলগুলোর মাধ্যমে জীবনকে সাজিয়ে তোলা। ঈমান, জিহাদ ও হজের মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা অর্জন করা।
বিজ্ঞাপন
বিশেষ করে-
বয়সে বড় কিংবা ছোট, দুর্বল এবং নারীদের জন্য হজ ও ওমরাহ আদায়ের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ ৩টি আমলই পালন করা হয়। ঈমানদার ব্যক্তিরাই হজ পালন করে, আর হজ-ওমরাহ পালনকারী যদি দুর্বল, বড়, ছোট কিংবা নারী হয় তবে তারা হাদিসের ঘোষণায় জিহাদকারী হিসেবে গণ্য। আর জিহাদও মুমিনের শ্রেষ্ঠ আমল। সর্বোপরি হজ-ওমরাহ পালনও মুমিন মুসলমানের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল।
সুতরাং শিশু-কিশোর-যুবক-বৃদ্ধ-দুর্বল এবং নারীদেরও বেশি বেশি ওমরাহ ও হজ পালনের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ আমলকারী হওয়ার চেষ্টা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শ্রেষ্ঠ আমলকারী হিসেবে দুনিয়ার স্বচ্ছলতা ও পরকালের সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিজ্ঞাপন
এমএমএস/জেআইএম
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন