নামাজে যেসব স্থানে দোয়া করতে পারবে মুমিন
নামাজ হলো দোয়া করার সর্বোত্তম স্থান। কেননা নামাজের মাধ্যমে বান্দার সঙ্গে আল্লাহর সম্পর্ক তৈরি হয়। আল্লাহর সঙ্গে বান্দার নৈকট্য অর্জনের মাধ্যমও নামাজ।
তাই মানুষের জন্য পুরো নামাজটাই দোয়া। তারপরও নামাজে দোয়ার জন্য তিনটি খাস স্থান রয়েছে। যে স্থানগুলোতে আল্লাহর কাছে দোয়া করা যায়। নামাজে দোয়া করার সেসব স্থানগুলো হলো-
>> প্রথম স্থান : তাকবিরে তাহরিমার পর
তাকবিরে তাহরিমা (اَللهُ اَكْبَر) আল্লাহু আকবার বলার পর দোয়া করা। অনেকে এ স্থানে ছানা পড়ে থাকেন। ছানা পড়ার এ সময়টাতেই আল্লাহর কাছে দোয়া করা যায়।
অধিকাংশ মানুষ এখানে একটা দোয়া বেশি পড়ে। আর তাহলো-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মিশকাত)
অর্থ : হে আল্লাহ্! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময়, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে, আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোনো মাবুদ নেই।
এখানে আরো অনেক দোয়া আছে। যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পড়তেন। আর তাহলো-
> إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا ۖ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ
উচ্চারণ : ইন্নি ওয়াঝ্ঝাহ্তু ওয়াঝহিয়া লিল্লাজি ফাত্বারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফা; ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকিন।’ (সুরা আনআম : আয়াত ৭৯)
অর্থ : ‘আমি এক মুখী হয়ে স্বীয় মুখমণ্ডল সেই সত্তার দিকে করছি, যিনি নভোমণ্ডল ও ভুমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিক নই।’
অনেকে এ দোয়াটিকে জায়নামাজের দোয়া হিসেবে জানেন। আসলে এটি তা নয়। বরং এ দোয়াটি তাকবিরে তাহরিমার পড়া।
> إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
উচ্চারণ : ‘ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।’ (সুরা আনআম : আযাত ১৬২)
অর্থ : নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমর জীবন, আমার মৃত্যু বিশ্বজাহানের প্রভু আল্লাহ তাআলার জন্য।’
> اَللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كما بَاعَدْتَ بين الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ اَللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنَ الْخَطَايَا كما يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ من الدَّنَسِ اللهم اغْسِلْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বায়িদ বাইনি ওয়া বাইনা খাত্বাইয়াইয়া, কামা বাআদ্তা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিবি, আল্লাহুম্মা নাক্কিনি মিনাল খাত্বাইয়াইয়া কামা ইউনাক্কাছ্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ্দানাসি, আল্লাহুম্মাগসিল মিন খাতাইয়াইয়া বিল মায়ি, ওয়াছ্ছাল্জি, ওয়াল বারদি।’(বুখারি ও মুসলিম)
অর্থ : ‘হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপগুলো থেকে এত দূরে রাখ যেমন পূর্ব ও পশ্চিম পরস্পরকে পরস্পর থেকে দূরে রেখেছ। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপ হতে এমন ভাবে পরিষ্কার করে দাও, যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা হতে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে আমার পাপ হতে (পবিত্র করার জন্য) পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা ধুয়ে পরিষ্কার করে দাও।’
>> দ্বিতীয় স্থান : সেজদায়
সেজদার তাসবিহগুলো বান্দাকে আল্লাহর খুব কাছাকাছি নিয়ে যায়। তাই সেজদায়ও আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে দোয়া করতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
‘বান্দা যখন নামাজে সেজদা দেয়, তখন বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে চলে যায়।’
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় বেশি বেশি দোয়া করতে বলেছেন। কাজেই সেজদায় গিয়ে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাওয়া এবং চাইতে থাকা একান্ত আবশ্যক। তবেই আল্লাহ তাআলা বান্দাকে চাহিদা মোতাবেক দান করবেন। প্রিয় নবি সেজদায় গিয়ে পড়তেন-
اَللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آَمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِيْ لِلَّذِيْ خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ تَبَارَكَ اللهُ أحْسَنُ الْخَالِقِيْن
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা সাঝাদতু ওয়া বিকা আমাংতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াঝহি লিল্লাজি খালাক্বাহু ওয়া সাওয়্যারাহু ওয়া শাক্কা সামআহু ওয়া বাছারাহু। তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিক্বিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার জন্যই সিজদা করছি। একমাত্র তোমার প্রতিই ঈমান এনেছি এবং তোমার কাছেই আত্মসমর্পন করেছি। আমার মুখমণ্ডল ওই সত্ত্বার জন্য সেজদাবনত হয়েছে, যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন, সুসমন্বিত আকৃতি দিয়েছেন এবং তাতে কান ও চক্ষু স্থাপন করেছেন। নিপুনতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলা কত কল্যাণময়!’
সেজদায় ছোট ছোট দোয়ার মাধ্যমেই বান্দার সব চাওয়া পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তাতে হাদিসে ঘোষিত প্রিয় নবির চমৎকার মাসনুন দোয়াগুলো পড়া জরুরি-
اَللَّهُمَّ اِنِّى أَسْألُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা; ওয়াত তুক্বা; ওয়াল আ’ফাফা; ওয়াল গেনা।
অর্থ : হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে হেদায়েত কামনা করি এবং আপনার ভয় তথা পরহেজগারি কামনা করি এবং আপনার কাছে সুস্থতা তথা নৈতিক পবিত্রতা কামনা করি এবং সম্পদ তথা সামর্থ্য কামনা করি। (মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে আহমদ)
সেজদায় কুরআনের সবচেয়ে বরকতময় দোয়াটি পড়া-
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা আতিনা ফিদদুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতও ওয়াক্বিনা আজাবান নার।’
কুরআনের এ দোয়াটি পড়লে বান্দার দুনিয়া ও পরকালে কোনো অভাব থাকবে না। আল্লাহ তাআলা বান্দার সব চাওয়াকে পূর্ণ করে আলোকিত জীবন দান করেন।
অতঃপর প্রথম সেজদা থেকে ওঠে সোজা হয়ে বসে ধীরস্থিরভাবে নিজের জন্য প্রয়োজনীয় দোয়া করা। যে দোয়ায় সব চাওয়া হয়ে যায়। বান্দার জন্য কোনো কিছু বাকি থাকে না। প্রিয় নবি বলতেন- -
رَبِّى اغْفِرلِىْ وَارْحَمْنِىْ وَارْزُقْنِىْ وَاهْدِنِىْ وَ عَافِنِىْ وَاعْفُ عَنِّىْ وَاجْبُرْنِىْ وَارْفَعْنِىْ
উচ্চারণ : রাব্বিগফিরলি ওয়ারহামনি ওয়ারঝুক্বনি ওয়াহদিনি ওয়া আফিনি, ওয়াফুআন্নি, ওয়াঝবুরনি, ওয়ারফানি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দিন, রহমত দিয়ে আমার জীবন ভরে দিন, আমার রিজিক বাড়িয়ে দিন, আল্লাহ আমাকে হেদায়েত করে দিন, আমাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা ও নিরাপত্তা দিন, আমার ক্ষয়-ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমার মর্যাদা বাড়িয়ে দিন।
>> তৃতীয় স্থান : শেষ বৈঠকে সালাম ফেরানোর আগে
নামাজি ব্যক্তিরা সালাম ফেরানোর আগে দোয়া করবে। এ স্থানে মুসল্লিরা দোয়ায়ে মাসুরা পড়ে থাকে। এখানে পড়ার রয়েছে অনেক দোয়া।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘৪টি জিনিস থেকে পানাহ না চেয়ে কেউ যেন সালাম না ফেরায়। আর সে ৪টি বিষয় সমৃদ্ধ দোয়াটি হলো-
> اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ ، وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবি ঝাহান্নাম; ওয়া মিন আজাবিল ক্ববর; ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামাত, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাসিহিদ দাঝঝাল।‘ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জাহান্নামের আজব থেকে আশ্রয় চাই, কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাই, তোমার কাছে জীবন ও মৃত্যুর পরীক্ষা থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই দাঝঝালের ফিতনা থেকে।
> اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثُمِ وَالْمَغْرَمِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল্ মাছামি ওয়া মিনাল মাগরাম।’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা তোমার কাছে পাপ ও ঋণের বোঝা থেকে আশ্রয় চাই।’
> اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম মাগফিরলি মা ক্বাদ্দামতু ওয়া মা আখখারতু ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আলানতু ওয়া মা আসরাফতু ওয়া মা আন্তা আলামু বিহি মিন্নি আন্তাল মুক্বাদ্দিমু ওয়া আন্তালমুওয়াখখিরু লা ইলাহা ইল্লা আন্তা।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি যে সব গোনাহ ইতিপূর্বে করেছি এবং যা পরে করব, সব তুমি মাফ করে দাও। মাফ করে দাও সেই পাপরাশি, যা আমি গোপনে করেছি, আর যা প্রকাশ্যে করেছি। মাফ কর আমার সীমালংঘনজনিত পাপ সমূহ এবং সেই সব পাপ, যে পাপ সম্বন্ধে তুমি আমার চেয়ে অধিক জান। তুমি যা চাও, তা আগে কর এবং তুমি যা চাও তা পেছনে বা পরে কর। তুমি আদি, তুমি অনন্ত। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই।’ (মুসলিম)
> للَّهُمَّ إنِّي أعُوذُ بِكَ مِنَ البُخْلِ، وَأَعوذُ بِكَ مِنَ الجُبْنِ، وَأعُوذُ بِكَ أنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ العُمُرِ، وَأعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়া আউজুবিকা মিন্ আন্ উরাদ্দা ইলা আরযালিল ওমুরি ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনইয়া ওয়া আউজুবিকা মিন আজাবিল ক্বাবরি।
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি কৃপণতা থেকে, কাপুরুষতা থেকে, বার্ধক্যের চরম দুঃখ-কষ্ট থেকে, দুনিয়ার ফিৎনা-ফাসাদ ও কবরের আযাব থেকে।’ (বুখারি, মিশকাত)
> اَللَّهُم أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ، وحُسنِ عِبَادتِك
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আ-ইন্নি আলা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনাকে স্মরণ করার জন্য, আপনার শুকরিয়া আদায় করার জন্য এবং আপনার সুন্দর ইবাদত করার জন্য আমাকে সাহায্য করুন (মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, নাসাঈ, মিশকাত)
> اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، الأَحَدُ الصَّمَدُ، الَّذِي لَمْ يَلِدْ، وَلَمْ يُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণ : `আল্লাহুম্মা ইন্নি আস্আলুকা বি-আন্নি আশহাদু আন্নাকা আন্তাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আন্তাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম্ ইয়ালিদ্ ওয়া লাম্ ইউলাদ্ ওয়া লাম্ ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।‘
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট চাই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি একমাত্র তুমিই আল্লাহ। তুমি ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। তুমি একক অমুখাপেক্ষী। যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো থেকে জন্ম নেননি। তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।’ (আবু দাউদ)
> অধিকাংশ মানুষ দোয়ায়ে মাছুরা হিসেবে যে দোয়াটি বেশি পড়ে; তাহলো-
اَللَّهمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كثِيرًا، وَلَا يَغْفِر الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِر لِي مَغْفِرَةً مِّن عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيم
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি জুলমাং কাছিরাও ওয়া লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইংদিকা ওয়ারহামনি ইন্নাকা আংতাল গাফুরুর রাহিম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার ওপর অত্যধিক অন্যায় করেছি এবং তুমি ব্যতিত পাপ ক্ষমা করার কেউ নেই। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করো। ক্ষমা একমাত্র তোমার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে এবং আমার প্রতি দয়া করো। নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)
আরও পড়ুন : সালাতুত তাসবিহ পড়বেন যেভাবে
উল্লেখ্য যে, জামাআতে নামাজ আদায়ের সময় এ সব দোয়া পড়ার সময় পাওয়া যায় না। কারণ জামাআতের নামাজগুলো সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় মেনে আদায় করতে হয়। যাতে সময়ের ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি।
তাই একাকি যে কোনো নামাজে এ দোয়ার মাধ্যমে মানুষ দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ লাভে নিজেকে আত্ম নিয়োগ করতে পারে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ লাভ ও আল্লাহর নেকট্য অর্জনে মনোযোগী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস