ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে ফিতরা দিতে হবে

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:০৩ পিএম, ০৪ জুন ২০১৯

ফিতরা রোজাদারের ত্রুটি বিচ্যুতির কাফফারা স্বরূপ। ঈদের নামাজের আগেই তা অসহায়দের দেয়া সর্বোত্তম। যাতে অসহায় মানুষও স্বচ্ছলদের সঙ্গে আনন্দ উদযাপন করতে পারে।

অনেকেরেই জানা নেই যে, সাদকাতুল ফিতর দেবেন কারা? কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে সাদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়? কার ওপর সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব? আসুন জেনে নিই-

ফিতরা আদায়ে প্রযোজ্য সম্পদ

যে ব্যক্তির ওপর জাকাত ওয়াজিব তার ওপর সাদকাতুল ফিতর আদায় করাও ওয়াজিব। তবে সাদকাতুল ফিতর আদায়ে ব্যতিক্রম হলো-
>> জাকাতের নেছাবের ক্ষেত্রে ঘরের আসবাবপত্র ও ঘরের মূল্য ইত্যাদি হিসাবে ধরা হয় না।
>> সাদকাতুল ফিতরের ক্ষেত্রে ঘরের অত্যাবশ্যকীয় আসবাব ছাড়া-
- অন্যান্য আসবাব-পত্র
- সৌখিন দ্রবাদি
- খালি পড়ে থাকা ঘর বা ভাড়া ঘর। এসব হিসাবে আসবে।

তাই ঈদের দিন সকালে অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে যদি কোনো ব্যক্তির কাছে সাড়ে ৫২ তোলা (৬১২.৩৬ গ্রাম) রূপা অথবা সাড়ে ৭ তোলা (৮৭.৪৮ গ্রাম) সোনা থাকে তাহলে তাকে ফিতরা আদায় করতে হবে। এ ফিতরা আদায় করা ওই ব্যক্তির জন্য ওয়াজিব।

আর কারো যদি ঋণ থেকে থাকে, তবে ঋণ পরিশোধের পর অবশিষ্ট সম্পদ হিসাব করতে হবে।

অত্যাবশ্যকীয় আসবাব কী?

- থাকার ঘর।
- পরার জন্য কাপড়।
- ব্যবহারের গাড়ি ও অন্যান্য একান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী। যা সব সময় বা প্রায়ই ব্যবহত হয়।

এর বাইরে ব্যতিক্রম হলো-

‘ যেসব জিনিস বছরে একবারও ব্যবহার হয় না বা দু’এক বার ব্যবহার হলে তা ব্যবহার না করলেও কোনো সমস্যা নেই। তা হতে পারে-
- টেলিভিশন।
- গিটার।
- যে কোনো ধরনের শোপিজ
- সৌখিন জিনিস ইত্যাদি।

উল্লেখিত সম্পদের মালিকদের ওপর সরকার নির্ধারিত হারে সাধ্যমত সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের টাকা ঈদের নামাজের আগে আদায় করা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক সম্পদশালীকে ঈদের আগেই সাদকাতুল ফিতর আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

আরও পড়ুন