রমজানে অপরাধমুক্ত জীবন গঠনের উপায়
লাইলাতুল কদরের মাস রমজান। এ লাইলাতুল কদরেই নাজিল হয়েছে পবিত্র কুরআন। কুরআনের আলোকে মুমিন মুসলমানের ঝিমিয়ে পড়া চেতনাকে জাগ্রত করবে মুমিন। সব ধরনের অযাচিত কাজ তথা অপরাধের বলয় থেকে নিজেদের মুক্ত করতে বিশ্বনবির নসিহত গ্রহণই সর্বোত্তম উপায়।
সাওয়াব লাভের সীমাহীন সুযোগ ও কুপ্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে মহান চরিত্র অর্জনের উত্তম প্রশিক্ষণের মাস রমজান। তাকওয়া অর্জনের এ মহান মাসে মুমিনের রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
রমজানের এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যথাযথ পালন এবং এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলেই আল্লাহ তাআলা বান্দার যাবতীয় নেক উদ্দেশ্য ও চাওয়া-পাওয়াগুলো পূরণ করে দেবেন। আর এ সুযোগে মুসলিমের উচিত চারিত্রিক অধঃপতন থেকে নিজেদেরকে হেফাজত করা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রমজান মাসে দোয়া কবুল হয়। কেননা রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা বান্দার সব প্রার্থনা কবুল করে থাকেন।’
দোয়া কবুল প্রসঙ্গে বিশ্বনবি আরো বলেন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, (রমজানের) প্রতি দিন ও রাতে (জাহান্নাম থেকে) আল্লাহর কাছে অনেক বান্দা মুক্তিপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। তাদের প্রত্যেক বান্দার দোয়া কবুল হয়ে থাকে (যা সে রমজানে করে থাকে)। (মুসনাদে আহমাদ)
আরও পড়ুন > নামাজের জন্য অপেক্ষা করার ফজিলত
সুতরাং পবিত্র রমজান মাসে ইসলামি শরিয়ত কর্তৃক সুনির্ধারিত যে সব দায়িত্ব ও কাজ যথাযথ পালন করে মনের সব আবেদন আল্লাহ তাআলার কাছে পেশ করার মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করা আবশ্যক।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ পবিত্র রমজানে তাঁর বিধি-নিষেধ পালনের মাধ্যমে ক্ষমা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম