অসুস্থতা দমাতে পারেনি নাদিরের বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন
নাদির মোহাম্মদ কোজা। এক ফুসফুস ও এক কিডনি নিয়ে জন্ম নেয়া ২১ বছরের যুবক। শারীরিক অসুস্থতা তাকে পবিত্র কুরআনের আকর্ষণ থেকে দমাতে পারেনি। বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন ২৩তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায়।
প্রতিযোগিতায় তার তেলাওয়াত বিচারক, শ্রোতা ও দর্শনার্থীদের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। শারীরিকভাবে পুরোপুরি ফিট না হয়েও নাদির মোহাম্মদ প্রচণ্ড মানসিক শক্তি সঞ্চয় করেই অসুস্থ শরীর নিয়ে পুরো কুরআনুল কারিম মুখস্ত করে। খবর খালিজ টাইমস।
এক ফুসফুস নিয়ে কুরআন তেলাওয়াত অনেক কষ্টের কাজ। কেননা কুরআন তেলাওয়াতের সঙ্গে ফুসফুসের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। এ কারণেই আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব করা নাদির মোহাম্মদের জন্য ছিল অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
লেবাননের ত্রিপোলিতে জন্ম নেয়া নাদির মোহাম্মদ অসুস্থ শরীর নিয়ে মাত্র ১৪ বছর বয়সে মাত্র ৩ বছরের চেষ্টায় পবিত্র কুরআনুল কারিম মুখস্ত করতে সক্ষম হয়েছেন।
নিজ দেশের ৩টি জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কুরআনের প্রতিনিধিত্ব করতে তাকে অনুপ্রাণিত করে তোলে।
দুবাই অ্যাওয়ার্ড খ্যাত ২৩তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নাদির মোহাম্মদ।
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ফলে বিশ্বব্যাপী তার পরিচিতি ওঠে এসেছে। আর এ প্রতিযোগিতায় তার নাম ভেসে বেড়াচ্ছে সব প্রতিযোগি, বিচারক ও শ্রোতাদের কাছে।
নাদির মোহাম্মদ বলেন,‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সে কথা বিশ্বাস করি, তিনি বলেছেন, তোমাদের সর্বোত্তম সে ব্যক্তি যে নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শেখায়।’
আরও পড়ুন > পারিশ্রমিক ছাড়াই তারাবিহ পড়াচ্ছেন ১৩০০ হাফেজ
নাদির মোহাম্মদ লেবাননের ত্রিপোলিতে ইসলামিক শরিয়া এবং ইসলামিক সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন। এ বিষয়ের ওপর স্নাতক সম্পন্ন করার প্রচণ্ড আগ্রহ নিয়ে তার পথচলা অব্যাহত রয়েছে।
তার মতে, আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ যেমন সম্মানের আর এটি আমার একটি বড় স্বপ্নও বটে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে পবিত্র কুরআন মুখস্ত করা এবং আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে তার জন্য চ্যালেঞ্জ। নাদির মোহাম্মদ কোজার জন্য শুভ কামনা…
এমএমএস/জেআইএম