যাদের স্বপ্ন বাস্তবতার কথা বলে
স্বপ্ন নবুয়তের ৪৬ ভাগের একভাগ। হাদিসে নেককার সত্যবাদী বান্দার স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যারা আল্লাহকে ভয় করে তারা স্বপ্নে যা দেখেন তা বাস্তবে ঘটে যায়। আল্লাহ তাআলা স্বপ্নের মাধ্যমে তার প্রিয় বান্দাদের বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক করেন।
তাই বলে সব স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয় না। অনেক সময় শয়তান মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়। হাদিসে পাকে স্বপ্নের ধরণ উল্লেখ করা হয়েছে। কোন স্বপ্ন সত্যি আর কোন স্বপ্ন ধোঁকা। আবার স্বপ্ন দেখার পর সে স্বপ্ন সম্পর্কে অন্য বলার ব্যাপারেও নসিহত পেশ করেছেন প্রিয়নবি। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন কেয়ামত সন্নিকটে হবে তখন মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা হবে না। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি সত্যবাদী, তার স্বপ্ন সবচেয়ে বেশি সত্য হবে। আর মুসলিমদের স্বপ্ন নবুয়াতের ৪৫ ভাগের একভাগ। স্বপ্ন তিন প্রকার-
> নেক (সত্যবাদীদের) স্বপ্ন, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে (মানুষের কল্যাণে) সুসংবাদ স্বরূপ।
> দুশ্চিন্তায় ফেলানোর জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে স্বপ্ন।
> মানুষ মনে মনে যা জল্পনা-কল্পনা করে সে স্বপ্ন।
অতএব তোমাদের কেউ অপছন্দ করে এমন স্বপ্ন দেখলে উঠে সালাত আদায় করবে এবং তা মানুষকে বলবে না। (বুখারি ও মুসলিম)
সুতরাং স্বপ্ন নিয়ে অবহেলা নয়। যদি ভালো মানুষ কোনো স্বপ্ন দেখে তবে স্বপ্নে ইঙ্গিত মেনে চলা জরুরি। ভালো স্বপ্নের জন্য আল্লাহ শুকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি দান-সাদকা করা উচিত। আবার অপছন্দনীয় স্বপ্নের জন্যও আল্লাহর ক্ষমা ও সাদকা করা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে স্বপ্নের করণীয় রক্ষায় হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ