তাবলিগের ঐক্যে আবারও ফাটল!
তাবলিগ জামাতের বিবাদমান দুই গ্রুপের ঐক্যে আবারো ফাটল ধরেছে! বিশ্ব ইজতেমা হবে তো? এমনই অনেক প্রশ্ন ভেসে বেড়াচ্ছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। জানা যায়-
তাবলিগের দীর্ঘ দিনের বিবাদমান উভয় পক্ষের ঐক্যের ঠিক দু’দিনের মাথায় আবার অনৈক্যের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
সরকারের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ গ্রুপ ঐক্য ভেঙে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম গ্রুপ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে একাধিক তথ্য ভেসে বেড়াচ্ছে।
সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ ও পরামর্শ না করেই মাওলানা জোবায়ের আহমদ গ্রুপ দীর্ঘ ৩ পৃষ্ঠার এক চিঠি দেশ ও বিদেশের তাবলিগের সাথীদের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আরো যে সব কথা ভেসে বেড়াচ্ছে তাহলো- ‘দুই দিন না যেতেই কারী জুবায়ের ভেঙে দিলেন ঐক্য, অনৈক্যের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে জোবায়ের গ্রুপে : আসছে কঠিন সিদ্ধান্ত’ ইত্যাদি শিরোনামে বিভিন্ন তথ্য ভেসে বেড়াচ্ছে।
আবার ‘মাদ্রাসা উলুমি দীনিয়া মালওয়ালী মসজিদ’ কাকরাইল-এর পেডে ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মাওলানা জোবায়ের স্বাক্ষরিত এক চিঠিও ভেসে বেড়াচ্ছে।
এতে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম গ্রুপের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, সরকারি সিদ্ধান্তকে অমান্য করে তার মতাদর্শের লোকদের কাছে একটি চিঠি প্রেরণ করে মাওলানা জোবায়ের গ্রুপ অনৈক্যের বীজ রোপন করেছেন।
তাদের দাবি, সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল, তাবলিগের উভয় পক্ষ পরামর্শের ভিত্তিতে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন ও তাবলিগের কাজ আঞ্জাম দেবেন। কিন্তু মাওলানা জোবায়ের সাহেব তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াই দেশে ও দেশের বাইরের তাবলিগের সাথীদের কাছে বিতর্কিত সাংবাদিকদের ই-মেইল থেকে চিঠি পাঠাচ্ছেন।
যারা তাবলিগের কাজে ও বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টিতে তৎপর তাদের প্রতি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান মাওলানা জোবায়ের বিরোধী পক্ষ।
এ পরিস্থিতে তাবলিগের দীর্ঘ দিনের চলমান দ্বন্দের অবসান হয়ে বিশ্ব ইজতেমা আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কিনা কিংবা উভয় গ্রুপের দ্বন্দ্বের অবসান হবে কিনা তা দেখতে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে।
এমএমএস/এমএস