যেসব দেশে হিজাব পরে ভ্রমণও নিষিদ্ধ
ইসলামে নারীদের জন্য নিকাব পরিধান নামাজের মতোই ফরজ ইবাদত। এ বিধানটি বাস্তবায়নে রয়েছে আল্লাহ ও তার রাসুলের নির্দেশ। ইসলাম ধর্ম মতে, নারীদের জন্য মাথা ও মুখ কাপড় দ্বারা ঢেকে রাখা আবশ্যক।
আর অধিকাংশ মুসলিম নারী ঘরের বাইরে চলাফেরায় তাদের মাথা ও মুখ ঢেকে রাখে। নিকাব পরিহিত কোনো মুসলিম নারী বিশ্বের ৯টি দেশে পর্যটক হিসেবেও ভ্রমণ করতে পারবে না। দেশগুলো হলো-
অস্ট্রিয়া
এসবিএস নিউজ নিশ্চিত করেছে যে ২০১৮ সালে অস্ট্রিয়া নারীদের হিজাব পরিধান নিষিদ্ধ করেছে। অস্ট্রিয়াতে ৭ শতাংশ মুসলিম বসবাস করে।
কুইব্যাক (কানাডা)
নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য মতে কানাডায় যখন মুসলিম নারীরা নিকাব পরিধানে এগিয়ে আসে তখনই তারা কঠোরভাবে নিকাব পরিধান নিষিদ্ধে আইন করে। এমনকি নিকাব পরিধানকারীরা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, ডাক্তার দেখানো ও চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।
লাতভিয়া
ইউরোপের ব্যাল্টিক সাগরের তীরবর্তী দেশ লাতভিয়ায়ও নারীদের নিকাব পরিধান নিষিদ্ধ। বিবিসির তথ্য মতে ২০১৬ সাল থেকে লাতভিয়ায় নিকাব পরিধান নিষিদ্ধ।
কঙ্গো
মধ্য আফ্যিকার দেশ রিপাবলিক অব কঙ্গো। এ দেশটিতেও নারীদের নিকাব পরিধান নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন > একদিনে ঘুরে আসুন ভারতের আগরতলা
গ্যাবন
দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসগরের তীরবর্তী আফ্রিকার দেশ গ্যাবন। কঙ্গোর পর এ দেশটিও নারীদের জন্য নিকাব পরিধানকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে।
চাদ
রয়টার্সের মতে, চাদ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। মধ্য আফ্যিকার দেশ এটি।। এ দেশটিও গ্যাবনকে অনুসরণ করে মুসলিম নারীদের মাথা ও মুখে নিকাব পরিধানকে নিষিদ্ধ করে।
বুলগেরিয়া
ইউরোপের দেশ বুলগেরিয়াতেও মুসলিম নারীদের জন্য নিকাব পরিধান নিষিদ্ধ। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-এর তথ্য মতে, বুলগেরিয়ার সংসদ ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে দেশটির নারীদের জন্য নিকাব পরিধানকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে।
বেলজিয়াম
ইউরোপের বড় দেশ বেলজিয়াম। দেশটি ২০১১ সালে নারীদের জন্য নিকাব পরিধান নিষিদ্ধ করে। কেউ নিষেধ অমান্য করে নিকাব পরিধান করলে জরিমানাসহ ৭ দিনের জেলের বিধানও রয়েছে।
আরও পড়ুন > অবশেষে সৌদি ভ্রমণের সুযোগ পাবে ওমরাকারীরা
ফ্রান্স
ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ ফ্রান্স। এটি প্রথম দেশ, যেখানে প্রথম আইন করে নারীদের নিকাব পরিধানকে নিষিদ্ধ করা হয়। দেশটিতে নিকাব পরিধান এতটাই নিষিদ্ধ যে, যদি কেউ নিকাব পরে ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার পরিদর্শন করতে যায়, তবে গ্রেফতার হতে হবে। এটি ফ্রান্সের আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। দেশটিতে নিকাব পরিহিত নারীকে বানরের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
এমএমএস/আরআইপি