বিশ্বনবিকে কটাক্ষ করলেই জেল!
হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অপমান করা বা কটাক্ষ করা ইউরোপে এখন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইউরোপীয় আদালত এ আদেশ প্রদান করে। খবর ডি ডব্লিউ একাডেমি।
আদেশে বলা হয়েছে যে, ইউরোপে কোনো ব্যক্তি যদি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কটাক্ষ বা অপমানমূলক কোনো কথা বলে কিংবা অপমানসূচক বক্তব্য দেয় তবে ইউরোপীয় আদালতের রায় অনুযায়ী সে ব্যক্তির স্থান হবে জেলখানা।
দ্য ইনটিগ্রিটি ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিট্রেইন অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ‘The Integrity Foundation for Humanitarian and Human Rights’ (Hayat Haq/হায়াত হক) ইউরোপীয় আদালতের মানবাধিকারের এ রায়ে সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কটাক্ষ বা অপমান করে বক্তব্য দেয়াকে বাক-স্বাধীনতার আওতায় রাখা হয়নি। অর্থাৎ প্রিয়নবিকে নিয়ে বাক-স্বাধীনতা কথা বলে কটাক্ষ বা অপমান করার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এ রায়ে।
দ্য ইনটিগ্রিটি ফাউন্ডেশন জানায়, ইউরোপীয় আদালতের এ রায়ের ফলে আধ্যাত্মিক ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা ও অধিকারকে শক্তিশালী করা হয়েছে।
এ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনটি স্পষ্ট করে দেয় যে, ইউরোপীয় আদালত নাগরিকদের শান্তি ও উন্নয়নে বিশেষ করে মুসলিমদের ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রশংসার আশ্বাস দেয়।
আরও পড়ুন > বিশ্বনবিকে নিয়ে যা বললেন মমতা ব্যানার্জী
ইউরোপের আদালত ধর্ম-বিশ্বাসের ক্ষেত্রের বক্তব্য প্রদানে ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সতর্কতা অবলম্বনের উপর গুরুত্বারোপ করে।
উল্লেখ্য যে, ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ায় ২০০৯ সালে ইউরোপীয় আদালতের মানবাধিকারের রায়ে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অপমান বা কটাক্ষ করার অপরাধে এক নারীকে ৪৮০ ইউরো (৫৮৪ ডলার) জরিমানা করা হয়েছিল।
সে মহিলা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বিয়েকে কেন্দ্র করে প্রিয়নবি অপমানমূলক বক্তব্য প্রদান করেছিল।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর গত ২৫ অক্টোবর ২০১৮ (বৃহস্পতিবার) ইউরোপের আদালত বাক-স্বাধীনতার নামে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কটাক্ষ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। প্রিয়নবিকে কটাক্ষ বা অপমান করলেই শাস্তি হবে জেল বলে রায় দেয়।
এমএমএস/জেআইএম