বেফাকসহ কাওমি শিক্ষাবোর্ড থেকে সাদ অনুসারিদের বহিষ্কার!
বাংলাদেশ কাওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক)-এর অধীনে যে সব মাদরাসা পরিচালিত হচ্ছে, এসব মাদরাসার কোনটি যদি মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী হয় তবে তাদেরকে বেফাক থেকে বহিষ্কার করা হবে।
দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভি দীর্ঘদিন ধরে নিজের খেয়াল-খুশি মতো বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আসছে। এমনকি তার নিজস্ব মতামতের ওপর তাবলিগকে পরিচালিত করতে চায়। অথচ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তাবলিগ জামাত আলোচনাভিত্তিক দাওয়াতে দ্বীনের কাজ পরিচালনা করে আসছে।
তাবলিগ জামাতের সঠিক দর্শন তুলে ধরতে দেশব্যাপী চলছে আলেম-ওলামাদের ওয়াজাহাতি জোড়। এ জোড়ে তাবলিগকে তার প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের নিয়ম অনুযায়ী চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের পীরজঙ্গি মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হাইআতুল উলইয়ার শুকরানা মাহফিলে সাদ অনুসারি মাদরাসাকে বেফাক থেকে বের করে দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন বেফাকের মহাসচিব ও জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক।
আরও পড়ুন > যেভাবে বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হলো
তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, বেফাকভূক্ত কোনো মাদরাসা যদি মাওলানা সাদ অনুসারি হয় তবে তাকে প্রথমে বোঝানো হবে এবং তাদের অবস্থান পরিবর্তনের সুযোগও দেয়অ হবে। যদি তারা তাবলিগের সঠিক ধারায় ফিরে না আসে তবে তাদেরকে বেফাক থেকে বহিষ্কার করা হবে।
তার এ ঘোষণার সময় কাওমি মাদরাসার অন্য পাঁচ বোর্ডের নেতারাও সহমত পোষণ করেন। তারা হলেন মুফতি রুহুল আমীন (গওহরডাঙ্গা), মাওলানা আরশাদ রাহমানি (তানযিম) মুফতি মুহাম্মদ আলী (বেফাকুদ্দিনিয়া), মাওলানা এনামুল হক (সিলেট এদারা)।
পীরজঙ্গি মাদরাসার এ বৈঠকে তারা আরো ঘোষনা দেন যে, ‘দারুল উলুম দেওবন্দের চিন্তাধারার যে কোনো সিদ্ধান্তের সঙ্গে সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকবে।’
এমএমএস/পিআর