কুরআন মুখস্ত করলেই কমবে কারাবন্দির সাজা!
কুরআনুল কারিম হেফজ করলেই কমবে সাজা। এমনটি জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক শহর দুবাইয়ের সংশ্লিষ্ট কারাগার কর্তৃপক্ষ।
‘দুবাই অ্যাওয়ার্ড’ খ্যাত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা কমিটির তত্ত্বাবধানে দুবাইয়ের কারাগারে কুরআনিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি কারাবন্দীদের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে দেখেছেন যে কারাবন্দীরাও কুরআন মুখস্ত করতে সক্ষম।
কারাবন্দী অপরাধীরা যদি কুরআন মুখস্ত করতে পারে, আশা করা যায় কুরআনের শিক্ষার প্রভাবে এসব কারাবন্দী অপরাধী নিজেদের অপরাধ প্রবনতা থেকে ফিরে আসতে সক্ষম হবে।
তাইতো দুবাইয়ের গভর্নরের মানবতা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ও দুবাই অ্যাওয়ার্ড’ খ্যাত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা কমিটির প্রধান ইবরাহিম মুহাম্মদ বুমালহা কারাবন্দীদের সাজা কমানো পন্থা হিসেবে কুরআন মুখস্তকরণ প্রকল্পটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কারাবন্দীদের সাজা কমানোর এ উদ্যোগ অনেক প্রশংসনীয় এবং কারাবন্দীরা কুরআনের প্রতি আকর্ষিত হবে। কুরআনের আলোকে জীবন গড়তে উদ্বুদ্ধ হবে।
যাদের সাজা কমানো হয়েছে
‘দুবাই অ্যাওয়ার্ড’ খ্যাত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতার মানব সম্পদ এবং তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক পরিচালক মোহাম্মদ আলি আল-হামাদির ভাষ্য মতে, এ পরিকল্পনা ৩টি কোর্স ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। তৃতীয় কোর্সে ১২৪ জন নারী ও পুরুষ বন্দীরা অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১১৫ জন কুরআনুল কারিম হেফজ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং তাদের সাজাও কমানো হয়েছে।
এ প্রকল্পের ৩য় আসরের ১১৫জন বন্দীর মধ্যে ৭ জনের ২০ বছর, ৪ জনের ১৫ বছর, ৮ জনের ১০ বছর, ২০ জনের ৫ বছর, ৩৫ জনের ১ বছর এবং ৪১ জনের ৬ মাস সাজা কমানো হয়েছে।
কুরআন মুখস্তকারী বন্দীরা নির্ধারিত সময়ে আগেই জেল থেকে মুক্তি পাবে। শুধু তা-ই নয়, বন্দী জীবনের পর কুরআনের বিধান বাস্তবায়ন করে আলোকিত জীবনে ফিরে আসবে তারা। কারা কর্তৃপক্ষের আশাও এমনটি।
বন্দীদের জন্য এমন অভিনব ও সুন্দর আয়োজন নিঃসন্দেহে অপরাধ প্রবণতা কমাতে সহায়ক হবে। আর তা যদি দেশে দেশে বাস্তবায়িত হয় তবে সমাজের চিহ্নিত কারাবন্দী অপরাধীরাও নিজেদেরকে পরিবর্তনের সুযোগ পাবে।
এমএমএস/পিআর