সন্তানের জন্য যে দোয়া করবেন বাবা-মা
সন্তানের জন্য পিতামাতার দোয়ার চেয়ে মূল্যবান আর কিছু নেই। সন্তানের জন্য পিতামাতার দোয়া কতটা কার্যকরী তার প্রমাণ দিয়েছেন প্রিয়নবি। তিনি বলেছেন, কোনো সন্তান যদি পিতামাতার প্রতি ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকায়, আল্লাহ তাআলা সে সন্তানকে সাদকার সাওয়াব দান করেন।
মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম যখন প্রাণপ্রিয় সন্তান ও স্ত্রীকে জনমানবহীন মরুভূমি মক্কার সাফা-মারওয়া পাহাড়ের উপত্যকায় রেখে যান। তখন তাদের জন্য কল্যাণের দোয়া করেছিলেন। দোয়াটি মহান আল্লাহ কবুল করেন এবং পছন্দ করেন।
কুরআনুল কারিমে সে দোয়াটি পুনরায় উল্লেখ করে দুনিয়ার মানুষকে তাদের সন্তানদের জন্য এভাবে দোয়া করতে উদ্বুদ্ধ করেন। যাতে মানুষ সন্তানদের জন্য এভাবে দোয়া করেন। দোয়াটি তুলে ধরা হলো-
رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِّنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُم مِّنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ
উচ্চারণ : রাব্বানা লিয়ুক্বিমুস সালাতা ফাঝআল আফ্ইদাতাম মিনান নাসি তাহ্ওয়ি ইলাইহিম ওয়ারযুক্হুম মিনাছ ছামারাতি লাআল্লাহুম ইয়াশকুরুন। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৩৭)
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! তারা (সন্তান-সন্তুতি) যাতে নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। কাজেই তুমি মানুষের অন্তরকে তাদের প্রতি অনুরাগী করে দাও। আর ফল-ফলাদি দিয়ে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা কর; যাতে তারা (আল্লাহ তাআলার) শুকরিয়া আদায় করতে পারে।’
প্রাণপ্রিয় সন্তানের জন্য পিতামাতার পক্ষ থেকে এ রকম উত্তম দোয়া করা হলে, আল্লাহ তাআলা সে সন্তানকে নামাজি হিসেবে কবুল করবেন। উত্তম বন্ধু ও রিজিক দান করবেন। আল্লাহর পরিপূর্ণ শুকরিয়অ আদায় করবে সন্তান।
পিতামাতা যদি সন্তানের জন্য এভাবে দোয়া করেন, আর আল্লাহ তাআলা পিতামাতার সে দোয়া কবুল করেন। তবে বংশ পরম্বরায় এসব পিতামাতাকে আল্লাহ তাআলা সাদকায়ে জারিয়া দান করবেন। যা তাদের পরকালের জীবনের মহা পাথেয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব পিতামাতাকে সন্তানের জন্য কল্যাণের দোয়া করার তাওফিক দান করুন। পিতামাতার দোয়ায় সন্তানদেরকে নামাজি হওয়ার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ায় উত্তম বন্ধু ও উত্তর রিজিক দান করুন। সর্বোপরি মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম