ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

সাহাবাদের পেরেশানিতে সান্ত্বনামূলক যে আয়াত নাজিল হয়েছিল

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:২২ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মহান আল্লাহ আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টি করার দু’হাজার বছর আগে একটি কিতাব লিখেছিলেন, যার মধ্যে দু’টি আয়াত অবতীর্ণ করে সুরা বাকারা শেষ করেন। সে আয়াত দুটির প্রথমটি এটি। এ আয়াতটি অনেক ফজিলতপূর্ণ।

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা কিছু বিষয়ের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করতে বলেছেন। যে বিষয়গুলোর প্রতি স্বয়ং রাসুলে আরাবি ও মুমিনগণ বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। আর এ বিষয়গুলো ঈমানের মূল বিষয়বস্তুও বটে। তাছাড়া আগের আয়াতের বর্ণনার সমাধানও দিয়েছেন এ আয়াতে।

আগের আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষের অন্তরে গোপন বিষয় তথা ভাবনা বা কল্পনার বিষয় সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা বা জবাবদিহিতা করবেন এবং হিসাব গ্রহণ করবেন বলে উল্লেখ করেছেন। এ আল্লাহর এ ঘোষণায় সাহাবায়ে কেরাম অত্যন্ত ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে যান।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এ আরজি পেশ করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মনের ভাবনার উপরতো আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ অবস্থায় কোনো পাপের সংকল্প হলে তার জন্যও যদি হিসাব গ্রহণ করা হয় তবে তা তো আমাদের জন্য চরম বিপদের কারণ। সাহাবায়ে কেরাম সে ঘোষনায় পেরেশান ও হয়রান হয়ে যান। তা থেকে পরিত্রাণ লাভে আল্লাহ ঘোষণা করে বলেন-

Image

আয়াতের অনুবাদ

Image

সুরায়ে বাকারার ২৮৫নং আয়াতে আল্লাহ তাআলার নাজিলকৃত বিষয়ের ওপর বিশ্বাস স্থাপন সম্পর্কে আলোকপাত করার পর মনের গোপনতম প্রকোষ্টে সংকল্পের হিসাব গ্রহণ সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন। যে বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম হয়রান ও পেরেশান হয়েগিয়েছিলেন।

সাহাবায়ে কেরামের হতাশার আরজি শোনার পর প্রিয়নবি ইরশাদ করেন, তোমরা বল- আমরা শুনলাম এবং আনুগত্য প্রকাশ করলাম। হে আল্লাহ! তোমার আদেশ আমাদের সাধ্যমোতাবেক হোক অথবা সাধ্যাতীত হোক সব অবস্থায় তোমার সমীপে আত্মসমার্পন করলাম। তোমার সব আদেশ আমাদের জন্য শিরোধার্য।

মূলতঃ এ আয়াতটি সাহাবায়ে কেরামের পেরেশানিতে সান্ত্বনা স্বরূপ নাজিল হয়েছিল। যাতে আল্লাহ, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব এবং রাসুলদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনপূর্বক প্রিয়নবির আনুগত্য করার আহ্বান করা হয়।

আরও পড়ুন- অন্তরে গোনাহের সংকল্প সম্পর্কে আল্লাহর ঘোষণা (সুরা বাকারা : আয়াত ২৮৪)

সুতরাং অন্তরে পাপ কাজের হিসাব সম্পর্কে প্রিয়নবির ঘোষণায় সাহাবায়ে কেরাম, শুনল এবং তাতে আনুগত্য করল। আর আল্লাহ তাআলা তাদের ব্যাপারে পরবর্তী আয়াতে পরিপূর্ণ সমাধান ও শান্তিদায়ক আদায় নাজিল করলেন। যে আল্লাহ কারো সাধ্যের বাইরে কষ্ট দেয়ার সংকল্প করেন না। আর এটি আল্লাহ তাআলার নীতি বিরোধী কাজ।

তাছাড়া প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াতসহ শেষ আয়াতের অনেক ফজিলত বর্ণনা করেছেন। এ আয়াত আরশের ধনভান্ডারের একটি। যা কোনো নবি-রাসুলকে দেয়া হয়নি। বিস্তারিত ফজিলত পরবর্তীতে উল্লেখ করা হবে। ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার নাজিলকৃত বিষয়ের ওপর যথাযথ আমল করার এবং অন্তরে নেক কাজের সংকল্প করার তাওফিক দান করুন। অন্তরে পাপ কাজের চিন্তাগুলোকেও দূর করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

আরও পড়ুন