ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

যে নামাজে মানুষের গোনাহ দূর হয়

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৫৫ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ইন্নাল হাসানাতা ইউজহিবনাস সায়্যিআত’ নিশ্চয় নেক কাজ পাপ কাজকে দূর করে দেয়‘। আর দুনিয়াতে নেক কাজসমূহের মধ্যে অন্যতম নেক কাজ হলো ‘নামাজ’।

কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তবে তার সব গোনাহ মাফ হয়ে যায়। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের ফজিলত ও গোনাহমুক্ত জীবন লাভের এমন দৃষ্টান্তই ঘোষণা করেছেন-

> পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ে ফজিলত ঘোষণায় প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন-

হরজত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমআ থেকে অপর (পরবর্তী) জুমআ পর্যন্ত; এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজান পর্যন্ত সব গোনাহের কাফফারা হয়; যদি কবিরা গোনাহসমূহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)

> পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যে গোনাহমুক্ত পূত-পবিত্র থাকে অন্য হাদিসে প্রিয়নবি সে দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেন-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাহাবিদের উদ্দেশ্যে ) বললেন- আচ্ছা বল তো, তোমাদের কারো বাড়ির দরজার কাছে যদি একটি নদী থাকে, আর সে নদীতে (প্রতিদিন) পাঁচবার গোসল করে, তাহলে কি তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে?

সাহাবিগণ উত্তরে বললেন, ‘না’, কোনো ময়লা থাকতে পারে না।

তিনি ( রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, এ হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্ত। এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়কারীর গোনাহসমূহ আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।’ (বুখারি, মুসলিম, নাসাঈ, তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ, ইবনে হিব্বান, তারগিব)

আরও পড়ুন > যে ৩ ব্যক্তি কেয়ামতের দিন বিশেষ নেয়ামত লাভ করবে

> শাস্তিযোগ্য অপরাধী ব্যক্তির অপরাধও নামাজ আদায়ে ক্ষমা হয়ে যায়। প্রিয়নবি বলেন-

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, এক লোক এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ‘হাদ্দ’ যোগ্য-এর কাজ (অপরাধ) করে ফেলেছি। আমার উপর তা (শাস্তি) প্রয়োগ করুন।

বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার অপরাধ সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞেস করলেন না। বরং নামাজের ওয়াক্ত হয়ে গেলে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ আদায় করলেন।

লোকটিও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে নামাজ আদায় করল। তিনি (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) নামাজ শেষ করলে লোকটি দাঁড়িয়ে বলল-

‘হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ‘হাদ্দ’-এর কাজ করেছি। আমার ওপর আল্লাহর কিতাবের নির্দিষ্ট ‘হাদ্দ’ জারী করুন।

উত্তরে তিনি (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কি আমাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করনি। লোকটি বলল, ‘হ্যাঁ’, করেছি।

তিনি (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, (এ নামাজের মাধ্যমে) আল্লাহ তোমার গোনাহ বা ‘হাদ্দ’ মাফ করে দিয়েছেন।’ (বুখারি, মুসলিম)

সুতরাং নামাজ এমন এক ইবাদত তা আদায় করলে একদিকে যেমন গোনাহ হয় না। আবার গোনাহ হলেও তা নামাজ আদায় করার কারণে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেন।

তাছাড়া নামাজ এমন এক ইবাদত, যা মানুষকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন- ‘নিশ্চয় নামাজ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। নামাজ আদায়ের মাধ্যমে গোনাহমুক্ত জীবন লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

আরও পড়ুন